রাজস্থান থেকে যুবককে অপহরণ করে হিমাচল প্রদেশে নিয়ে আসে একদল ব্যক্তি। উদ্দেশ্য ছিল পরিবারের থেকে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া। কিন্তু পুলিশি তল্লাশিতে কার্যত জন্মদিনের দিনই নতুন জীবন পেলেন অপহৃত যুবক। জানা যাচ্ছে, হিমাচল প্রদেশের সোলান থেকে অনুজ নামে যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ। গত ১৮ অগাস্ট নাহারগড় দূর্গে (Nahargarh Fort) বন্ধু সোনির সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিল সে। জয়পুর নিবাসী ওই ব্যক্তিকে সেখান থেকেই অপহরণ করে ৫ জন দুষ্কৃতি। এবং তাঁর বন্ধুকে মারধর করে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরিবার থেকে পুলিশে অভিযোগ জানানো হলে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। আর তারপরেই মঙ্গলবার গভীর রাতে সোলানের একটি হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁকে।
পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, অপহরণ করার পর যুবকের ওপর অত্যাচার চালানো হয় এবং পরিবারকে ফোন করে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণও চাওয়া হয়। পরিবার অনেক কষ্ট করে সেই টাকা জোগাড় করে এবং অভিযোগ জানানো হয়। পুলিশ ফোন নম্বর ট্রেস করে অপহরণকারীদের পিছু নেয়। অন্যদিকে বিপদ বুঝতে পেরে অভিযুক্তরাও তাঁদের অবস্থান বদল করতে থাকে। দিনদুয়েক আগে কালকা-সিমলা এক্সপ্রেসে অনুজকে নিয়ে হিমাচল প্রদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় তাঁরা। পরিবারকে নির্দেশ দেওয়া হয় ধরমপুর স্টেশনে ট্রেনটি আসলে শেষ বগিতে টাকার ব্যাগ ফেলে দেয়। সেই মতো তাঁরা টাকাভর্তি ব্যাগ স্টেশনেও নিয়ে যায়। অন্যদিকে স্টেশন চত্বরে পুলিশের টিম নজর রাখছিল।
'हैलो बेटा..जयपुर पुलिस'😀
ये लड़का जो कंबल हटा के उठा है उसका जयपुर से अपहरण हुआ है, राजस्थान पुलिस ने हिमाचल के सोलन से एक होटल में उसे इस अंदाज में सरप्राइज किया.#HimachalPradesh । #Solan । #JaipurPolice pic.twitter.com/W6lNJ1K2Kx
— NDTV India (@ndtvindia) August 27, 2024
এরপর অপহরণকারীদের এক সদস্য যখন টাকার ব্যাগ নিতে আসে তখন তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশ। বাকিরা ওই ট্রেনেই পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। গ্রেফতার হওয়া ওই যুবককে জেরা করে তাঁদের পরিকল্পনা জেনে সোলানের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পুলিশ। আর তারপরেই গতকাল রাতে অপহৃত যুবককে উদ্ধার এবং বাকিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড বীরেন্দর সিং পেশায় একজন সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার। তাঁকে গ্রেফতার করে জানা যায়, বেশ কয়েকদিন ধরেই অনুজের ওপর নজর রাখছিল তাঁরা। বিশেষ করে তাঁর দামি জামাকাপড়, বিলাসবহুল জীবনযাপন দেখেই তাঁকে অপহরণ করা হয়। তবে এমনকী টাকা না পেলে তাঁকে মেরে ফেলারও পরিকল্পনা করেছিল অভিযুক্তরা।