মুম্বই, ১০ ফেব্রুয়ারি: করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) থাবা থেকে সতর্ক হতে মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ বিমানবন্দরের যাত্রীদের রক্তের নমুমা পরীক্ষা করা হল। প্রায় ২১,০২৩জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যাঁদের অনেকেই বিদেশ থেকে বা দেশের অন্য প্রান্ত থেকে মুম্বইতে প্রবেশ করেছেন। এঁদের মধ্যে ১৫১ জন ভাইরাসের কবলে থাকা এলাকা থেকেই এসেছেন। নুমনা পরীক্ষার পর ৩৬জন যাত্রীকে আলাদা করে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে আবার ৩১ জনকে সংক্রমণের আওতায় ফেলা যায়নি। বাকিরা কিন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। রবিবার এই খবর জানিয়েছে মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য দপ্তর। একইভাবে কেরালা সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য বলছে, তারা ৩ হাজার ২৫২ জনকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে।
জানা গিয়েছে, এই তিন হাজার ২৫২ জন কেরালার স্থানীয় ৩৪টি হাসপাতালে আলাদা ভাবে পর্যবেক্ষণে আছেন। এমনকী, সন্দেহ হওয়ায় ৩৪৫ জনের রক্তের নমুনা করোনা ভাইরাসের টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে ৩২৬ জনের রিপোর্টে করোনা ভাইরাস মেলেনি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের ২১টি বিমান বন্দরে আগ্ত এক লক্ষ ৯৭ হাজার ১৯২ জন যাত্রীকে পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে ৯ হাজার ৪৫২ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আর এক হাজার ৫১০ জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে এক হাজার ৫০৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের প্রমাণ মেলেনি। তবে কেরালা থেকে তিনজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে তা জানানোও হয়েছে। আরও পড়ুন-Jammu & Kashmir: পার্লামেন্ট হামলার মূল চক্রী আফজাল গুরুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা
করোনা ভাইরাসের প্রাবল্যে চিনের অবস্থা একেবারেই শোচনীয়। ২,১৪৭ জনকে নতুন করে ভাইরাস আক্রান্তে চিহ্নিত করা হয়েছে। গোটা দেশজুড়ে ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬,৬৯০। এক ৬০ বছর বয়সী মার্কিন নাগরিক চিনের উহান শহরে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আরেকজন ৬০ বছর বয়সী জাপান নিবাসী তিনি মারা যান। করোনা ভাইরাস বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে। গতকালই চিনে (China) করোনা ভাইরাসের ফলে মৃতের সংখ্যা ছিল ৭০০। শনিবার সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ৭২২। আক্রান্তের সংখ্যার হিসেবেও বিস্তর ফারাক। টেনসেন্ট বলছে, সংক্রমিত অন্তত দেড় লাখ। তাইওয়ানের এক সংস্থার কথায়, অনিচ্ছাকৃত ভাবে হলেও আসল মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশ করে ফেলেছে টেনসেন্ট। দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে (Airport) তাঁদের থার্মাল টেস্ট করা হচ্ছে। কারোর মধ্যে সংক্রমণের সামান্য আঁচ পেলেও তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হচ্ছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংক্রমণ না থাকলেও চিন ফেরত ব্যক্তিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।