নতুন দিল্লি, ১৮ ডিসেম্বর: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (Citizenship Amendment Act 2019) বিরোধিতায় সমর্থন জানিয়েচেন দিল্লির শাহি ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারি (Delhi's Jama Masjid, Syed Ahmed Bukhari)। একই সঙ্গে প্রতিবাদ আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণভাবে পালনের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। পূর্ব দিল্লির সিলামপুর এলাকায় বিক্ষোভ আন্দোলন সহিংসতায় পর্যবসিত হওয়ার একদিন পরে প্রতিবাদীদের আবেগতাড়িত হতে নিষেধ করলেন বুখারি। গতকালকের ঘটনায় পূর্ব দিল্লিতে ৩৪ জন আহতে হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে ১২জনই পুলিশকর্মী। এই প্রসঙ্গে শাহি ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারি বলেন, “প্রতিবাদ করা ভারতের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার, কেউ আমাদের তা করতে বাধা দিতে পারে না। তবে প্রতিবাদের সময় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।”
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সরকারি সিদ্ধান্তের পুনরাবৃত্তি করে বুখারি বলেন, “পাকিস্তান আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা মুসলিম শরণার্থীরা এই আইনানুসারে নাগরিকত্ব পাবেন না। তবে এই আনের সঙ্গে ভারতীয় মুসলিমদের কোনও যোগসূত্র নেই। একই সঙ্গে এনআরসি এখনও আইনে পরিবর্তিত হয়নি।” রবিবার থেকে যখন দিল্লি প্রতিবাদে মুখর তখন মঙ্গলবার রাত থেকে সিলামপুরের বিরজিপুরি এলাকা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সাধারণ জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। রাত সাড়ে আটটা নাগদ আন্দোলন তীব্র আকার নেয় পরে বিশাল পুলিশবাহিনী নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়্ন্ত্রণে আনা হয়। আরও পড়ুন-Sana Ganguly On Anti CAA Protests: ‘আমরা কেউ নিরাপদে নেই’, নাম না করেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় সমর্থনের ইঙ্গিত সৌরভ কন্যা সানার
Shahi Imam of Delhi's Jama Masjid, Syed Ahmed Bukhari: There is a difference between Citizenship Amendment Act (CAA) & National Register of Citizens (NRC). One is CAA that has become a law, and the other is NRC that has only been announced, it has not become a law. (17.12.19) pic.twitter.com/Eo9bjd8YTp
— ANI (@ANI) December 18, 2019
উল্লেখ্য, রবিবার যখন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jamia Millia Islamia University) ক্যাম্পাসের মধ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ চলছিল, আচমকাই সেখানে পুলিশ ঢুকে পড়ে। বিক্ষোভরত ছাত্রদের বেধড়ক লাঠিপেটা করতে শুরু করে। হস্টেলে ঢুকে তছনছ করে দেয় সবকিছু। প্রাণভয়ে ছাত্রছাত্রীরা তখন এদিক ওদিক লুকোনোর চেষ্টা করছে। লাইব্রেরিতে ঢুকে, বাথরুমে গিয়ে ছাত্রীদের হেনস্তা করে পুলিশ। এমনকী আরএসএস কর্মীকেও পুলিশের সঙ্গে লাঠিপেটা করতে দেখা যায়। গোটা ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে দেশের ছাত্রদল। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা পথে নেমে প্রতিবাদে শামিল হয়।