মির্জাপুর, ২০ জুলাই: একেবারে যুদ্ধংদেহি মেজাজে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanaka Gandhi)। উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রা গ্রামে জমি বিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে যাওয়ার পথে পুলিশ আটক করার পরেও ফিরে যেতে নারাজ প্রিয়াঙ্কা। প্রিয়াঙ্কাকে তাই আটক করে পুলিশ আটকে রাখে মিরজাপুরের গেস্ট হাউসে। যেখানে প্রিয়াঙ্কার সারা রাতটা কাটল ইলেকট্রিকহীন গেস্ট হাউসে।
সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর এই প্রথম প্রিয়াঙ্কা নেমেছেন কোনও আন্দোলনে। প্রিয়াঙ্কার ওই সফরের আগে সোনভদ্রা এলাকায় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়। মির্জাপুরে পুলিশের কাছে আটকে পড়ার পর প্রিয়াঙ্কা আজ ফের সোনভদ্রে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। আরও পড়ুন-হরিণ ছানাকে মাতৃদুগ্ধ পান করাচ্ছেন বিশনোই বধূ, ভাইরাল সেই ছবি
গত বুধবার সোনভদ্র জেলায় ৩৬ একর জমিকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ১০ জনের প্রাণ যায়, আহত হন ২৪ জন। যোগী দত্ত নামের এক গ্রামপ্রধানের গুলিতে প্রাণ যায় কৃষকের। গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে ক্ষোভ। প্রিয়াঙ্কা সেখানেই গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু প্রশাসন থেকে সেখানে কোনও রাজনীতিবিদদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না, উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কায়। কিন্তু ইন্দিরা গান্ধীর নাতনির জেদ তিনি সোনভদ্রে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলবেনই। পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পরেও প্রিয়াঙ্কা বলছেন, তিনি জেলে যেতে তৈরি, তবু গ্রামবাসীদের ছেড়ে চলে যাবেন না।
ADG Varanasi, Commissnor Varanasi division and other senior Police & Govt officials leaving Chunar Qila at 1.15 am pic.twitter.com/ceyk4Rg2k0
— Priyanka Gandhi Vadra (@priyankagandhi) July 19, 2019
সোনিয়া কন্যা বলছেন, গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা না বলে ফিরব না। আর তাই মির্জাপুরে রাস্তার পাশে বসে থাকতে দেখা যায়। এ সময় কংগ্রেস কর্মী ও তাঁর নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে ঘিরে রেখেছিলেন। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের দায়িত্বে থাকা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছেন, ‘আমি শুধু ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। পুরো পরিবারকে নির্মমভাবে গুলি করে মারা হয়েছে। তাদের মধ্যে আমার সন্তানের বয়সী একজন হাসপাতালে শুয়ে আছে। কোন আইনের ভিত্তিতে আমাকে এখানে আটকানো হয়েছে, তা বলুন।’