মুম্বই, ১১ নভেম্বর: আজই সেই দিন, যেদিন অগ্নিপরীক্ষা দেবে শিবসেনা (Shiv Sena)। ঠিক রাত ৭-৩০ মিনিট পর্যন্ত সময় উদ্ধব ঠাকরের হাতে রয়েছে। তার মধ্যেই কংগ্রেস এনসিপিকে বুঝিয়ে মহারাষ্টের জোট সরকার গঠনের প্রক্রিয়ার একটি ধাপ এগিয়ে রাখতে হবে। রাজ্যপালের দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে গেলে কিন্তু ছয় মাসের জন্য রাষ্ট্রপতি শাসনের অধীন চলে যাবে মহারাষ্ট্র। ঠিক কি ঘটতে চলেছে তা আলোচনা করতে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে রুদ্ধদার বৈঠকে বসলেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে তাঁদের বার্তালাপ চলল। কংগ্রেস আদৌ কি মতাদর্শ বিরোধী শিবসেনার শরিকের ভূমিকা নেবে, তানিয়েই মূল আলোচনা।
এই কাজে শিবসেনা ও কংগ্রেসের মধ্যে সেতু বন্ধনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে শরদ পাওয়ারের দল এনসিপি। মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক ডামাডোলে নাক গলিয়ে দল কি শিবসেনার পক্ষ নেবে, তা জানতে এদিন দিল্লিতে কোর কমিটির বৈঠক হয়েছে। তাতেও কোনও সিদ্ধান্তে না আসায় চারটেতে মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের নেতাদের দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ফের শুরু হয়েছে বৈঠক। এই প্রসঙ্গে এনসিপির (NCP) মুখপাত্র নবাব মালিক জানিয়েচেন, কংগ্রেসের বৈঠকের পরেই বোঝা যাবে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে শিবসেনা পাশে এনসিপি-কংগ্রেস জোটা আছে নাকি নেই। আমরা কংগ্রেসের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি। কেননা নির্বাচনে আমরা এক সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। তাই যা হবে তা যৌথ সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়েই ঘটবে। আরও পড়ুন-CM To Be Uddhav Thackery? : উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী, জোট শরিক কংগ্রেস এনসিপিকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদের অফার করল শিবসেনা
Mumbai: NCP Chief Sharad Pawar leaves after meeting Shiv Sena Chief Uddhav Thackeray https://t.co/FJ2RXjpUB5 pic.twitter.com/krPDIKZ1Rj
— ANI (@ANI) November 11, 2019
এদিন ঠাকরে পাওয়ার বৈঠকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে শিবসেনা সরকার গড়লে এনসিপি পাশে আছে। তবে কংগ্রেসের মতামত যতক্ষণ না আসছে, ততক্ষণ এই সমর্থনের উপরে কিছুতেই সিলমোহর দেওয়া যাবে না। রবিবারই মহারাষ্টের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি শিবসেনাকে সরকার গঠনের জন্য সোমবার রাত সাড়েসাতটা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। যদি এনসিপির ৫৪ জন বিধায়ক ও কংগ্রেসের ৪৪ জন বিধায়ক শিবসেনার তত্ত্বাবধানে সরকার গঠনে সম্মতি দেয়, তাহলে নিজেদের ৫৬ জন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে ১৫৪ জনের সংখ্যা গরিষ্ঠতা ছুঁয়ে ফেলবে শিবসেনা। প্রায় পঁচিশ বছরের মুখ্যমন্ত্রীত্বের স্বপ্ন সফল হবে। আরমাত্র কিছুটা সময়ের অপেক্ষা, বাকিটা মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন ইতিহাসের জন্ম দেবে। এদিকে আসন্ন পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে অসুস্থ হয়ে পড়েচেন বিজেপি নেতা সঞ্জয় রাউত। বুকে ব্যথা অনুভাব করায় তাঁকে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।