কলকাতা, ২৭ ফেব্রুয়ারি: ম্যাথু স্যামুয়েলের নারদা স্টিং অপারেশনের পুনরাবৃত্তি? ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে নারদা স্টিং অপারেশনে (Narada Sting Operation) তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। ফের তিন বছর পর পুরসভা নির্বাচনের আগে স্টিং অপারেশনে অস্বস্তিতে শাসকদল। রাজ্যের বেশ কয়েকজন তাবড় তাবড় নেতা মন্ত্রীদের টাকা নেওয়ার ভিডিও ধরা পড়েছে গোপন ক্যামেরায়। দিন কয়েক আদে একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যম চ্যানেলের ভিডিওকে হাতিয়ার করে ময়দানে নামলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয় (kailash vijayvargiya) , দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এবং মুকুল রায় (Mukul Roy)।
দু'টি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই দু'টি ভিডিওই সাংবাদিক বৈঠকে প্রজেক্টরে দেখানো হয়। বুধবার মুরলীধর স্ট্রিটে রাজ্য বিজেপির দফতরে সাংবাদিক বৈঠকেই চালানো হয় ভিডিওটি। ভিডিওটিতে ছিলেন রাজ্যের ৬ জন মন্ত্রী এবং দু'জন বিধায়ক। এদের প্রত্যেককেই 'ঘুষ' নিতে দেখা গেছে। তবে ওই ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করে দেখা হয়নি। কিন্তু টাকা নেওয়ার ভিডিওটির খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই ফের শাসকদলের কপালে চিন্তার ভাঁজ। যদিও শাসকদলের তরফে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন: Coronavirus: ভারতীয় বিমানবাহিনী করোনাভাইরাস আক্রান্ত উহান থেকে ১১২ জন ও এয়ার ইন্ডিয়া ১১৯ জন ভারতীয় এবং ৫ বিদেশিকে জাপানের ডায়মন্ড প্রিন্সেস থেকে ফিরিয়ে আনল
গেরুয়া শিবিরের তরফে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওটিতে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, তাপস রায়, অরূপ রায়, উজ্জ্বল বিশ্বাস, স্বপন দেবনাথ, মলয় ঘটক এবং বিধায়কদের মধ্যে বজবজের বিধায়ক অশোক দেব, খানাকুলের ইকবাল আহমেদ এবং জোড়াসাঁকোর স্মিতা বক্সী ছিলেন। এই ভিডিওটিকে সম্বল করেই পুরসভা ভোটের আগে একেবারে 'আদা-জল' খেয়ে সম্মুখ সমরে নেমে পড়েছে রাজ্যের বিরোধী দল। বিজেপির পক্ষ থেকে একটি অডিও ক্লিপ শোনানো হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।
কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্ত নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ৭ দিনের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা। অভিযুক্ত নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া হলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে অভিযোগ জানান হবে বলে জানিয়েছেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।