President's rule in Maharashtra: মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসনের পরামর্শ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা(Photo Credit: PIB)

নতুন দিল্লি, ১২ নভেম্বর: মহারাষ্টের বিধানসভা নির্বাচনে ফল ঘোষণার পর কেটে গিয়েছে তিন সপ্তাহ। এখনও পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দলই সেখানে সরকার গড়তে পারল না। রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির তরফে সে খবরের নিশ্চিত তথ্য পাওয়ার পর মোদির মন্ত্রিসভা (Union Cabinet) মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসনের পরামর্শ দিয়েছে। ব্রিকস সামিটে (BRICS summit) যোগ দিতে সোমবার সন্ধ্যাতেই ব্রাজিলে উড়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই তিনি মন্ত্রিসভার কাছে মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন বিষয়ক হালহকিকত জানতে চান। মঙ্গলবার গোটা পরিস্থিতি জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি। আজ রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে এনসিপি প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করতে না পারলে কেন্দ্রকে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করবেন তিনি।

শিবসেনা-বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়ে দ্বৈরথ চরমে পৌঁছালে শেষপর্যন্ত পিছু হটলেন দেবেন্দ্র ফডনবিশ। গত রবিবার তাই রাজ্যপাল কোশিয়ারি শিবসেনাকে সরকার গঠনের জন্য সোমবার রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত সময় দেন। তবে এনসিপির সমর্থন থাকলেও কংগ্রেসের দোলাচালের কারণেই শিবসেনা সরকার গঠনের সুযোগ হারায়। তারপর রাজ্যপাল সেই দায়িত্ব দেন এনসিপিকে। কংগ্রেস এনসিপির জোট রয়েছে, কিন্তু সমস্যা শিবসেনাকে নিয়ে। সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী উগ্র হিন্দুত্ববাদী দলের সঙ্গে হাত মেলানো ভবিষ্যতের পক্ষে কতটা ক্ষতি হতে পারে দলের, এই নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত কংগ্রেস। আবার এখন সরকার গঠন করলেও পাঁচ বছর সেই সরকার টিকবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে দলের অন্দরেই। অন্যদিকে সরকারে গেলে অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি কী হবে, তা নিয়েও কাটাছেঁড়া চলছে। ফলে সমর্থনের প্রশ্নে এত তাড়াতাড়ি কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, এমন সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। আরও পড়ুন-Sonia Gandhi Speaks to Sharad Pawar: মহারাষ্ট্রে জোটে সায় কংগ্রেসের? সিদ্ধান্ত নিতে মুম্বই উড়ে গেলেন কংগ্রেসের তিন শীর্ষ নেতা

এদিকে কংগ্রেস সহযোগিতা না করলে শিবসেনা এনসিপি সরকার গড়তে পারবে না। কেননা তাদের কাছে সরকার গঠনের জন্য ১৪৫ জন বিধায়কের সমর্থন নেই। বিষয়টি বেশ বুঝেছেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। তাই আগেভাগেই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে (Ram Nath Kovind) রিপোর্ট জমা করে রেখেছেন।