কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী (Photo Credit: IANS)

নতুন দিল্লি, ৪ নভেম্বর: মহারাষ্ট্রে সরকার গড়া নিয়ে বিজেপি শিবসেনার দ্বৈরথ চরমে। তুলমুল্য দাবিদাওয়া না মিটতেই বিজেপির বিরুদ্ধে সরব শিবসেনা এবার এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে মৌখুক চুক্তি সেরে ফেলেছে। এখন শুধু কংগ্রেসের হ্যাঁ বলার অপেক্ষা। কংগ্রেস যদি বাইরে থেকে এনসিপি শিবসেনা জোটকে সমর্থন করে তাহলে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার কাজে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে এই জোঠ তাই সবার চোখই এখন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) দিকে। তাঁর অঙ্গুলিহেলনেই সব হিসেব বদলে যেতে পারে এক লহমায়। সোনিয়া গান্ধীই একমাত্র নিশ্চিত করতে পারেন যে এবার আর মহারাষ্ট্রের সিংসাহনে দেবেন্দ্র ভডনবিশ বসতে পারবেন না।

এই ডামাডোলের মধ্যে সোমবার সকালে জানা যায়, শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut) এদিন সন্ধ্যায় রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির কাছে যাচ্ছেন। তিনি রাজ্যপালকে অনুরোধ করবেন, ভোটে যে দলটি সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে, তাকে সরকার গড়তে ডাকা হোক। অন্যদিকে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (Devendra Fadnavis) এদিন যাচ্ছেন দিল্লিতে। তিনি দলের সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলবেন। অন্যদিকে শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’-য় রবিবার সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ১৭০ জন বিধায়ক তাদের সমর্থন করছেন। প্রয়োজনে নতুন করে জোট গড়া যেতে পারে। ইতিমধ্যে কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে শিবসেনা। গত সপ্তাহে উদ্ধব ঠাকরে ফোনে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে কথা বলেছেন। পাওয়ার এদিন সন্ধ্যায় কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। তাতেই ক্রমে ধারণা তৈরি হয়, বিজেপি-সেনা সমাধানসূত্র তৈরি না হলে সেনাকে সমর্থন দেবে কংগ্রেস ও এনসিপি। এই ধারণা বাস্তবায়িত হবে কিনা, তা বৈঠকের পরেই জানা যেতে পারে। আরও পড়ুন-Haryana Borewell Tragedy: ফের ৫০ ফুট গভীর গর্তে পড়ল শিশুকন্যা, হরিয়ানায় চাঞ্চল্য

উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনে এবার ৫৪টি আসন পেয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে এনসিপি (NCP)। একদিকে তাদের শক্তিবৃদ্ধি অন্য দিকে বিজেপি-সেনার (BJP-Shiv Sena) মহাদ্বৈরথ জন্ম দিয়েছে নতুন প্রশ্নের। বিজেপির সঙ্গে যদি শিবসেনা সমঝোতায় না আসে তা হলে কি সরকার গঠনে এনসিপির হাত ধরবে তারা? এনসিপিও কি প্রয়োজনে সেনাকেই সমর্থন দেবে? কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে বিরোধীদের বৈঠকে বিষয়টি আলোচনা হতে পারে বলেই রাজনৈতিক শিবিরগুলিতে জল্পনা।