ইভিএম(Photo Credits: PTI)

২১মে, ২০১৯:‌ ইভিএম–এর সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবিতে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল ২২টি বিরোধী দল। তার আগে এদিন দুপুরে দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাব অফ ইন্ডিয়া–তে টিডিপি সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নাইডুর নেতৃত্বে বৈঠক করে ১৯টি বিরোধী দল। বিশেষ সূত্রে খবর, ত্রিশঙ্কু ফল হলে কীভাবে এগনো হবে তা নিয়েই মূলত আলোচনা হয়। কংগ্রেস ছাড়া ছিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC), সপা, বিএসপি, ডিএমকে, সিপিআই, সিপিএম এবং এনসিপি। তৃণমূলের তরফে বৈঠকে যোগ দেন ডেরেক ও’‌ব্রায়ান। ছিলেন কংগ্রেসের অশোক গেহলট, আহমেদ প্যাটেল, গুলাম নবি আজাদ। এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার, বিএসপির তরফে সতীশ মিশ্র, সপার তরফে রামগোপাল যাদব এবং সিপিএম–এর তরফে সীতারাম ইয়েচুরিও ছিলেন বৈঠকে। জেডিএস নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী এদিন সকালেই জানিয়ে দেন তিনি আসছেন না।

ঘণ্টাখানেক বৈঠক চলার পর নির্বাচন কমিশনে গিয়ে প্রতিটি ইভিএম (EVM)এবং ভিভিপ্যাটের(VVPAT) সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেয় ২২টি বিরোধী দল। স্মারকলিপিতে আবেদন করা হয়, প্রতি পাঁচটি ইভিএম–এর জন্য যে একটি ভিভিপ্যাট নির্ধারিত করা আছে তার স্লিপ যেন প্রথম দফার গণনার পরে নয়, গণনা শুরুর আগেই মিলিয়ে নেওয়া হয়।

যদি কোনও ত্রুটি কোনও ভিভিপ্যাটে ধরা পড়ে, তাহলে যেন সেই বিধানসভা কেন্দ্রের সব কটি বুথের ভিভিপ্যাটের ১০০ শতাংশ স্লিপই গোণা হয়।

কমিশনের তরফে বিরোধীদের আশ্বস্ত করা হয় এই বলে যে, সারা দেশের প্রতিটি স্ট্রং রুমে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে ভিভিপ্যাট এবং ইভিএমগুলি। এজন্য মোট ৯৩টি বৈঠক করা হয়েছে কমিশনের তরফে। কোথাও কোনও গাফিলতি বা ত্রুটি ধরা পড়লে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে এবং যে অফিসার এজন্য দায়ী থাকবেন, তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য পদক্ষেপ করা হবে। যে ভাইরাল ভিডিও দেখে বিরোধীরা ইভিএম লুঠের অভিযোগ করছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে আবারও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এদিকে এদিনও ঝাড়খন্ডের দেওঘরে জেভিএম–এর কর্মীরা একটি ইভিএমবোঝাই ট্রাক জোর করে আটকিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসডিও পৌঁছে তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, ভোটবন্দি ইভিএম (EVM)আগেই কমিশনে পাঠানো হয়ে গিয়েছে গণনার জন্য, এবং খালি ইভিএমগুলি ট্রাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।