মুম্বই, ৬ নভেম্বর: অনেকদিন হল বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে। আর দেরি না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরকার গড়ে ফেলুক বিজেপি শিবসেনা (Shiv Sena) জোট। আর বরাবরের মতো বিরোধী আসনেই বসবে জাতীয়তাবাদি কংগ্রেস পার্টি। এদিন সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর এক সাক্ষাৎকারে একথাই বললেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার (NCP Chief Sharad Pawar)। তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “শিবসেনা-এনসিপি সরকার গঠনের প্রসঙ্গ উঠলে একটা কথা বলতেই হয় যে, ২৫ বছর ধরে জোটে রয়েছে বিজেপি-শিবসেনা। আজ অথবা কাল তারা ফের এক ছাতার তলায় চলে আসবে।” আমে দুধে মিলে যাওয়ার সেই প্রবাদটির পুনরুত্থান করলেন প্রবীণ রাজনীতিক।
তিনি আরও বলেন, “এনিয়ে আমার কিছুই বলার নেই। মহারাষ্ট্রের মানুষের ভোটে সরকার গড়ার সুযোগ পেয়েছে বিজেপি-শিবসেনা জোট। মানুষ এই জোটকে অনেক বেশি ভরসা করেছে। অপরদিকে জনতার বিচারে বিরোধী আসনের জন্যই এনসিপি তৈরি হয়েছে। তাই দেরি না করে বিজেপি-শিবসেনা জোট সরকার তৈরি করুক। কেননা রাষ্ট্রপতি শাসন না চাইলে এছাড়া আর কোনও পথ তো খোলা নেই।” রাজনীতির প্রসঙ্গ ছেড়ে সাইক্লোন মহার (Cyclone Maha) দাপটে মহারাষ্ট্রের কৃষকদের ক্ষতির পরিমাণ দেখলে চোখ কপালে উঠতে হয়। এই অযাচিত বর্ষার প্রকোপে ফসল নষ্ট হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেসব উপদ্রুত এলাকা পরিদ্রশন করে এসেছেন শরদ পাওয়ার। তিনি চান কেন্দ্র এই সবহারানো কৃষকদের পাশে দাঁড়াক। যথাযথ ত্রাণের বন্দোবস্ত করা হোক। এই ফসল নষ্ট হওয়ার ঘটনায় বিমা সংস্থা কৃষকদের কোনও টাকা বা ক্ষতিপূরণ দেবে না। এই পরিস্থিতিতে অর্থমন্ত্রক পাশে না দাঁড়ালে কৃষকদের দূরাবস্থার সীমা থাকবে না। আরও পড়ুন-Maharashtra Government Formation Tussle: শিবসেনার প্রতিনিধিই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হবেন, মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার ডামাডোলে বারুদ সঞ্চার সঞ্জয় রাউতের
Sharad Pawar,NCP Chief: I don't have anything to say yet. BJP and Shiv Sena have got the mandate of people, so they should form government as soon as possible. Our mandate is to play the role of Opposition. #Maharashtra pic.twitter.com/7Yc64DZQ5H
— ANI (@ANI) November 6, 2019
এদিকে বুধবার সকালেই ফের মহারাষ্ট্রে সরকার গড়া প্রসঙ্গে বিজেপিকে আধা মুখ্যমন্ত্রীত্বের দাবি মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut)। তিনি সাফ জানিয়েছেন, এই জোট সরকার গড়লে আড়াই বছরের মুখ্যমন্ত্রীত্বের দাবিদার শিবসেনা প্রতিনিধি। আর এই সিদ্ধান্তের কোনও বদল ঘটছে না।