WB Assembly Elections 2021: আকঙ্খা থেকে কন্যাশ্রী, ভোটের বাজারে তৃণমূলকে এগিয়ে রাখছে মমতার উন্নয়ন
পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে। আগামী ২৭ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল এই সময়ের মধ্যে মোট আট দফায় হতে চলেছে এবারের নির্বাচন। ক্ষমতায় টিকে থাকার নিরিখে এই ভোট শাসকদল তৃণমূলের কাছে বিরাট বড় চ্যালেঞ্জ। একইভাবে বিরোধী বিজেপি তৃণমূলকে হারিয়ে বাংলায় গেরুয়া রাজ চালু করতে নিদারুণভাবে তৎপর। তবে এবার যদি তৃণমূল জনতার রায়ে জিতে যায়, তাহলে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর সেকাজে নিজেকে একশো-তে একশো দিতে কোনওরকম ফাঁক রাখেননি মমতা। একের পর এক জনকল্যাণ মূলক প্রকল্পের সূচনা করেছেন ও বঙ্গবাসীর সার্বিক উন্নয়নে ব্রতী হয়েছে।
কলকাতা, ২ মার্চ: পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে। আগামী ২৭ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল এই সময়ের মধ্যে মোট আট দফায় হতে চলেছে এবারের নির্বাচন। ক্ষমতায় টিকে থাকার নিরিখে এই ভোট শাসকদল তৃণমূলের কাছে বিরাট বড় চ্যালেঞ্জ। একইভাবে বিরোধী বিজেপি তৃণমূলকে হারিয়ে বাংলায় গেরুয়া রাজ চালু করতে নিদারুণভাবে তৎপর। তবে এবার যদি তৃণমূল জনতার রায়ে জিতে যায়, তাহলে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর সেকাজে নিজেকে একশো-তে একশো দিতে কোনওরকম ফাঁক রাখেননি মমতা। একের পর এক জনকল্যাণ মূলক প্রকল্পের সূচনা করেছেন ও বঙ্গবাসীর সার্বিক উন্নয়নে ব্রতী হয়েছে। মা মাটি মানুষের সরকারের মূল লক্ষ্যই হল উন্নয়ন।
এই কাজে তাঁর সঙ্গ দিতে তৈরি রয়েছে কন্যাশ্রী (Kanyashree Prakalpa), যুবশ্রী, রূপশ্রী, সবুজসাথী-সহ একাধিক প্রকল্প। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এমনই ৫ বৃহৎ প্রকল্পের বিশদ বিবরণ হল___
আকঙ্ক্ষা প্রকল্প: রাজ্যসরকারি কর্মচারীরা যাতে নিজেদের বাড়ি করার স্বপ্নকে সাকার করতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই তৈরি এই আকঙ্ক্ষা প্রকল্প। এই নামেই সরকারি কর্মচারীদের বাড়ি তৈরির ঋণ দেবে রাজ্য। হাউজিং ডিপার্টমেন্টকে বিনামূল্যে জমি দেবে সরকার। সেখানেই তৈরি হবে আবাসন। সরকারি কর্মীরা সেই আবাসনে নিজেদের জন্য ফ্ল্যাট কিনতে পারবেন। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ওই কর্মীকে ঋণ দিয়ে সহযোগিতার করবে। এই মর্মে ১০০ কোটি টাকার ঋণ প্রকল্পও বরাদ্দ হয়েছে। আরও পড়ুন-Hathras Case: জেল থেকে বেরিয়ে নির্যাতিতার বাবাকে গুলি করে খুন যৌন হেনস্তাকারীর, শিরোনামে হাথরাস
আমার ফসল আমার গোশালা প্রকল্প: প্রান্তিক কৃষকদের আর্থিক সহায়তার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার একই পাইলট প্রজেক্টেরও সূচনা করেছে। যাতে কৃষকরা নিজেদের ফসল তুলে রাখার জায়গা ও ভেন্ডিং কার্ট থাকে। এজন্য সরকারের তরফে পেতে পারেন ৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকার ভর্তুকি।
বয়ন শিল্পে জোয়ার: বয়ন শিল্পের ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতীর নিরিখে দেশের অন্যান্য রাজ্যকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়াই হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মূল লক্ষ্য। এখন সেই সফলতার ৬ শতাংশ ছোঁয়ে গিয়েছে। সেটিকে ১২ শতাংশে নিয়ে যেতে আর কয়েকটি বছর অপেক্ষা করতে হবে। এই কাজে জল, বয়ন শিল্পের উপযুক্ত বাজার, পর্যাপ্ত কাঁচামাল সবদিকেই সার্বিক উন্নয়ন করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার।
কন্যাশ্রী: রাজ্যে ১০-১৯ বছরের বাসিন্দাদের মোট সংখ্যা প্রায় ১.৩৭ কোটি। এর মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা ৪৮.১১ শতাংশ। শিশুকন্যাদের বিবিধ উপায়ে উন্নয়ন ও ভাল রাখার লক্ষ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করে। মূবত এই কন্যাশ্রী প্রকল্পের সূত্রেই এ রাজ্যে মেয়েদের বাল্য বিবাহকে অনেকটা প্রতিহত করা গেছে। কন্যাশ্রী প্রকল্পের বদান্যতায় এ রাজ্যের মেয়েরা এখন মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ার সুযোগ পেতে পারে অনায়াসেই।
পর্যটন শিল্প: ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের আঁতুড়ঘর হল পশ্চিমবঙ্গ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই রাজ্যে পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে সমস্তরকম পদক্ষেপ করেছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত সরকার। পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন জায়গায় চালু হয়েছে হোমস্টে পরিষেবা। গত বছর ডিসেম্বর থেকে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যবাসীর কাছে সমস্ত রকম সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দিতে তৎপর প্রশাসন। এমনকী সমস্যা দূরিকরণে পাড়ায় সমাধান প্রকল্পও চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।