শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত (Photo Credit: ANI)

মুম্বই, ৭ নভেম্বর: ফের রাজ্যপাল কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করতে ছুটল মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতৃত্ব। মাঝে আর মাত্র একটি দিনের সময়সীমা। এরমধ্যে সরকার গড়তে না পারলে মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়ে যাবে। এদিকে নিজের একগুঁয়ে মনোভাব থেকে বিন্দুমাত্র সরতে নারাজ শিবসেনা। মুখ্যমন্ত্রীর পদ তাদের চাইই চাই। বৃহস্পতিবার সকালেও নিজেদের দাবি ফের জোর গলায় জানিয়ে দিয়েছেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। কোনও পরিস্থিতিতেই যে মুখ্যমন্ত্রীত্বের দাবি থেকে সেনা সরে আসছে না তা সাফ জানিয়েছেন তিনি। এদিকে দল ভারী করার জন্য দলীয় বিধায়কদের টাকার বিনিময়ে কিনতে চাইছে (Poaching Its MLA) বিজেপি (saffron party)। মুখাপত্র ‘সামনা’য় গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ আনল শিবসেনা।

এই বিধায়ক কেনাবেচা প্রসঙ্গে বেজায় রেগেছেন সঞ্জয় রাউত। তিনি বলেন, ‘শিবসেনার দলীয় নেতারা এতটাও দুর্বল নয় যে তাঁদের ভুলিয়ে টাকা দিয়ে কেনা যাবে। এসব গুজব ছড়িয়ে লাভ নেই। বরং নিজেদের বিধায়কদের দিকে কড়া নজর রাখুক বিজেপি। নাহলে অচিরেই ভুগতে হবে।’ এদিকে বিজেপি যে বিধায়ক কেনার খেলায় নেমে পড়েছে, তা জানতে পেরেই মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতা শচিন সাবন্ত বলেছেন, গেরুয়া শিবির তো নীতিগতভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত। এদিকে বুধবারই এক সাংবাদিক সম্মেলনে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়া বলেছেন, আর দেরি না করে এই বেলা সরকার গড়ুক বিজেপি শিবসেনা। আর বরাবরের মতো বিরোধী আসনেই বসবে জাতীয়তাবাদি কংগ্রেস পার্টি। এদিন সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর এক সাক্ষাৎকারে একথাই বললেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার (NCP Chief Sharad Pawar)। তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “শিবসেনা-এনসিপি সরকার গঠনের প্রসঙ্গ উঠলে একটা কথা বলতেই হয় যে, ২৫ বছর ধরে জোটে রয়েছে বিজেপি-শিবসেনা। আজ অথবা কাল তারা ফের এক ছাতার তলায় চলে আসবে।” আমে দুধে মিলে যাওয়ার সেই প্রবাদটির পুনরুত্থান করলেন প্রবীণ রাজনীতিক। আরও পড়ুন-Maharashtra Government Formation: এনসিপি বিরোধী আসনেই, বিজেপি-শিবসেনা জোটকে সরকার গড়ার পরামর্শ শরদ পাওয়ারের

তিনি আরও বলেন, “এনিয়ে আমার কিছুই বলার নেই। মহারাষ্ট্রের মানুষের ভোটে সরকার গড়ার সুযোগ পেয়েছে বিজেপি-শিবসেনা জোট। মানুষ এই জোটকে অনেক বেশি ভরসা করেছে। অপরদিকে জনতার বিচারে বিরোধী আসনের জন্যই এনসিপি তৈরি হয়েছে। তাই দেরি না করে বিজেপি-শিবসেনা জোট সরকার তৈরি করুক। কেননা রাষ্ট্রপতি শাসন না চাইলে এছাড়া আর কোনও পথ তো খোলা নেই।”