দেবেন্দ্র ফডনবিশ (Photo Credit: ANI)

নাগপুর, ৬ নভেম্বর: মঙ্গলবার বিজেপির মতাদর্শগত গুরু রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) শীর্ষ নেতা মোহন ভাগবতকে (Mohan Bhagwat) মাঝখানে রেখে দিনভর বিজেপি ও শিবসেনার নাটক দেখল গোটা দেশ। বিজেপি নেতা নীতিন গডকড়ির ঘনিষ্ঠ শিবসেনার নেতা কিশোর তিওয়ারির নাম করে একটি চিঠি লেখা হয় মোহন ভাগবতের উদ্দেশ্যে। তাতে সাফ বিজেপির বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছে শিবসেনা, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে জোটধর্ম মানছে না বিজেপি। এই চিঠির উত্তর এখনও আসেনি। তবে পাল্টা হিসেবে আরএসএস প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ পর্ব সেরে ফেলেছেন দেবেন্দ্র ফডনবিশ। সেই বৈঠকে মধ্যস্থতা করতে উপস্থিত ছিলেন একমাত্র কাণ্ডারী নীতিন গডকড়ি।

দেবেন্দ্র ফডনবিশের (Devendra Fadnavis) নালিশ যাইহোক মহারাষ্ট্রের বিজেপি যতই গডকড়ির (Nitin Gadkari) কাঁধে বন্দুক রেখে সরকার বৈতরণী পার করার চেষ্টা করুক না কেন, এখানে কিন্তু শিবসেনা একেবারে ভবির ভূমিকায় অবতীর্ণ। মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়া সে অন্য কিছু ভাবতে রাজি নয়। আর গডকড়ি দেখছেন, যাই হয়ে যাক না কেন মহারাষ্ট্রে যেন শিবসেনা-বিজেপি জোট অক্ষুণ্ণ থাকে। এদিকে শিবসেনার তরফে মোহন ভাগবতের কাছে আগেই পৌঁছে গিয়েছে তাদের নেতা কিশোর তিওয়ারির (Shiv Sena leader Kishore Tiwari) চিঠি। যেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে ঝুরি ঝুরি অভিযোগ রয়েছে। সেনার দাবি মোহন ভাগবত চাইলে গডকড়ি এই পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতা করতে পারেন। যদিও দুই তরফের অভাব অভিযোগ দাবি অনুরোধ শুনে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি মোহন ভাগবত। আরও পড়ুন-Delhi Police On Tis Hazari Violence: শান্ত হয়ে নিজেদের কাজে যোগ দিন, দোষীরা কেউ রেহাই পাবে না, বিক্ষোভরত পুলিশকর্মীদের আশ্বাস দিলেন রাজধানীর কমিশনার অমূল্য পটনায়েক

উল্লেখ্য, সোমবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফনবিশ দিল্লিতে গিয়ে বিজেপির সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। পরে তিনি শুধু বলেছেন, মহারাষ্ট্রে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরকার গঠন করতে হবে। যদিও সরকার গঠনের জন্য তাঁরা কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন, কীভাবে শিবসেনার সঙ্গে সমঝোতা করবেন, তা জানাননি। এদিকে মহারাষ্ট্র বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৯ নভেম্বর। তার মধ্যে সরকার গড়তে না পারলে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হবে। গত ২৪ অক্টোবর মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ফল ঘোষণা হয়েছে। তারপর থেকেই সরকার গঠন নিয়ে বিজেপি সেনার মধ্যে দড়ি টানাটানি চলছে। শিবসেনা দাবি করে, ৫০-৫০ ফরমুলায় সরকার গঠন করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর পদটি তাদের ছেড়ে দিতে হবে আড়াই বছরের জন্য। দলের শীর্ষ নেতা উদ্ধব ঠাকরে বলেন, বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ তাঁকে এমনই কথা দিয়েছেন। যদিও বিজেপি সেকথা স্বীকার করেনি।