মমতার শিবিরে আরও ভাঙন ধরাবেন মুকুল! (File Photo)

কলকাতা, ২মে:  ক দিন আগেই শ্রীরামপুরের চণ্ডীতলায় নির্বাচনী জনসভায় এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)  বলেছিলেন, তৃণমূল (TMC)-র ৪০ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। বেশ কয়েক মাস আগে মুকুল রায়ও কিছুটা একই রকম দাবি করেছিলেন। রাজ্যে বিজেপি-র অন্দরমহলে কানপাতালেও জোড়া ফুল ছেড়ে পদ্মফুলে যোগ দেওয়ার রাঘববোয়ালদের সংখ্যার কথা শুনলে এমনটাই শোনা যায়। বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের আশা বাংলা থেকে কম করে দশটা আসন আসছেই।

পাশাপাশি অন্তত ১০০-১১০টা বিধানসভা আসনে (Vidhan Sabha seats) লিড নেওয়া যাবে। ফলে ২০২১ নির্বাচনে কোমর বেধে রাজ্য দখলের যুদ্ধে নামা যাবে বলে মনে করছেন রাজ্য বিজেপি (BJP) নেতারা।লোকসভা ভোটের আগে সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan), অনুপম হাজরা (Anupam Hazra), অর্জুন সিং (Arjun Singh)-য়ের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ঘটনাগুলো পদ্মের পালা হাওয়া দিয়েছে বলেই মনে করছেন রাজ্যে বিজেপি নেতার। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদী, সভাপতি অমিত শাহ (Amit Shah)-র বারবার বাংলায় ছুটে এসে জনসভা করাটাও বিজেপি-র পক্ষে দারুণ কাজে দিয়েছে বলে মনে করেন তাঁরা। উত্তরবঙ্গ থেকেই বেশি আসন আসছে বলে মনে করেন বিজেপি নেতারা। তবে দক্ষিণ বঙ্গে যেভাবে মমতাকে চাপে রাখা গিয়েছে তাতে আরও খুশি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়-রা।

বিজেপি-র রাজ্য নেতারা বলছেন, নরেন্দ্র মোদী ফের ক্ষমতায় ফিরলে, সঙ্গে বিজেপি বঙ্গে আটটা-দশটা আসন পেলেই পুরো সমীকরণ বদলে যাবে। শুধু ২০১৯ লোকসভা নয়, দিলীপ ঘোষ-মুকুল রায়দের পাখির চোখ ২০২১ বিধানসভার দিকেও। মুকুল-দিলীপরা বুঝেছেন, যেভাবে ১৯-এর ভোটে মমতাকে চাপে রাখা গেছে, তাতে ২০২১ বিধানসভা ভোট জমে যাওয়ার সব উপকরণ তৈরি। এবার দিলীপের লক্ষ্য থাকবে সংগঠনের দিকে। আর মুকুল তৃণমূল, কংগ্রেস, বা শিবির ধসিয়ে পদ্মে ভিড় বানানোর কাজ চালিয়ে যাবেন। তবে অনেক কিছু নির্ভর করছে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের ফলের ওপর। ২০১৯-এ অন্তত পাঁচটা আসন না পেলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে মর্যাদা পাওয়া যাবে না বলছেবন বিজেপি নেতারা। আর দশের বেশি আসন পেলে মমতার বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে বলছেন বিজেপির রাজ্যে নেতারা।