নতুন দিল্লি, ১০ ফেব্রুয়ারি: সরকারের সঙ্গে দেশের সমস্ত শীর্ষস্থানীয় পুলিশের লম্বা বৈঠক হয়। সেখানে তাদের হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার ও রিটুইটগুলিতে নজরদারি রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তাদের দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও নজরদারি রাখার নির্দেশ দিয়েছে। পুনেতে ডিজিপি (DGP) এবং আইজিপি (IGP) পদস্থ পুলিশকর্মীদের বার্ষিক অনুষ্ঠান (Annual Event) অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং ভাষণ দেন।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন এন্ড রিসার্চ-এ তিনদিন ধরে বৈঠক হয়। সেখানে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। সেখানে রাজ্য পুলিশগুলির উদ্দেশে নির্দেশ দেওয়া হয় সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যারা দেশের শান্তিভঙ্গের চেষ্টা করছে তাদের নরজরদারিতে রাখতে। এক বরিষ্ঠ আইপিএস অফিসার বলেছেন,"আমরা চেষ্টা করব ডান কিংবা বামপন্থীদের দ্বারা চালিত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলি রাজনৈতিক দলের দ্বারা পরিচালিত হয় তাদের ওপর নজরদারি রাখার। মুসলিম, দলিত, ট্রেড এবং শ্রমিক সংগঠন, ছাত্র এবং অন্যান্য সংগঠনগুলি যারা বিক্ষোভ প্রদর্শনের চেষ্টা করবে তাদের ওপরও নজরদারি করা হবে।"
আরও পড়ুন, একবালপুর কিশোরী গণধর্ষণে গ্রেফতার আরও এক
এছাড়াও এই নির্দেশের একটি অংশ ছিল আন্তঃ-ধর্মীয় কোন্দল সৃষ্টিকারী বক্তৃতাগুলিকে ঘৃণাত্মক বক্তব্য হিসাবে বিবেচনা করা, স্কুলে পুলিশের উপস্থিতি বৃদ্ধি এবং নিয়মিতভাবে পুলিশ ব্যান্ড চালানো ইত্যাদির প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। পুলিশকে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্র এবং হামলার সাথে হায়দরাবাদের সংযোগগুলিও তদন্ত করতে বলা হয়েছে।