কলকাতা: দেশভাগের ভয়াবহতা অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং মানবিক বিপর্যয়ের এক করুণ অধ্যায়। এই বিভাজন শুধু ভৌগোলিক সীমানা নয়, সমাজ, সংস্কৃতি এবং মানুষের জীবনের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল। দেশভাগের (Partition) ফলে প্রায় লক্ষ লক্ষ মানুষ ধর্মের ভিত্তিতে স্থানান্তরিত হয়, মানুষ তাঁদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্য দেশে চলে যেতে বাধ্য হয়। বহু সংখ্যক হিন্দু ও শিখরা পাকিস্তান থেকে ভারতে এবং মুসলমানরা ভারত থেকে পাকিস্তানে স্থানান্তরিত হয়। দেশভাগের সময় হিংসায় প্রায় ১০ থেকে ২০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায় এবং ১.৫ কোটি মানুষ স্থানান্তরিত হয় বলে অনুমান করা হয়
ভারত সরকার ২০২১ সাল থেকে ১৪ আগস্ট দিনটিকে ‘দেশভাগের ভয়াবহতা স্মরণ দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং আজ দেশভাগের বেদনাদায়ক অধ্যায়ের কথা স্মরণ করে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে লিখছেন, ‘দেশভাগের ভয়াবহতা স্মরণ দিবস (Partition Horrors Remembrance Day)-এ ১৯৪৭ সালের সেই বেদনাদায়ক অধ্যায়ের কথা স্মরণ করে, আমি সেই সমস্ত ভাইবোনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, দেশভাগে যাদের ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হয়েছিল এবং জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতির সাক্ষী হতে হয়েছিল। আজও, প্রতিটি ভারতীয়ের সেই ভুক্তভোগী পরিবারের প্রতি সহানুভূতি রয়েছে। আমরা দেশে সামাজিক সম্প্রীতি আরও জোরদার করার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
দেশভাগের ভয়াবহতা স্মরণ দিবসে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়-
Partition Horrors Remembrance Day!
A solemn day to honour the pain, resilience, and sacrifices of millions who endured the tragic upheaval of Partition.
A tribute to their courage, and a reminder of the cost of division.@HMOIndia @AmitShah @PIBHomeAffairs @AshwiniVaishnaw… pic.twitter.com/aT8eyADQmt
— Ministry of Information and Broadcasting (@MIB_India) August 13, 2025
ভারত ও পাকিস্তান ১৯৪৭ সালের ১৪ ও ১৫ আগস্ট মধ্যরাতে আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিভক্ত হয়। ১৪ আগস্ট পাকিস্তান এবং ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীনতা লাভ করে। দেশভাগের ফলে ভারত ও পাকিস্তান স্বাধীনতা এবং নিজস্ব জাতীয় পরিচয় গঠনের সুযোগ পেলেও, এই লাভের মূল্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক। দেশভাগের ভয়াবহতা আজও উভয় দেশের ইতিহাসে গভীর ক্ষত হিসেবে রয়ে গিয়েছে।