Representational Image (Photo Credits: Pixabay)

নয়ডা, ১২ সেপ্টেম্বর: নয়ডায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রেণু সিনহার (৬১) খুনের ঘটনায় প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশি জেরায় রেণুর স্বামী নীতিন সিনহা (অবসরপ্রাপ্ত ইন্ডিয়ান রেভেনিউ সার্ভিস অফিসার) জানান, স্ত্রীকে খুনের পর তাঁর দেহ বাংলোর উপরতলার শৌচাগারে লুকিয়ে রাখেন। এরপর বাংলো বিক্রি করতে খদ্দের ডাকেন। কেউ যাতে রেণুর খুনের বিষয়টি জানতে না পারেন,তার জন্য নীতিন খদ্দেরকে বাংলোর উপরতলায় যেতে দেননি। তবে বাংলো দেখানোর সময় নার্ভাস ছিলেন নীতিন। যা দেখে অনতায়েশ ভান্ডারি নামে ওই বাংলোর খদ্দেরের সন্দেহ হয়। সেই সঙ্গে এয়ার কন্ডিশনের গতি বাড়িয়ে গোটা বাড়ি পুরো ঠাণ্ডা করে রেখেছিলেন নীতিন। রেণুর মৃত্যুর পর সেই গন্ধ যাতে কেউ না পান, তার জন্য সব ব্যবস্থা করে রাখলেও, শেষরক্ষা হয়নি নীতিনের।

রবিবার সকাল ৯টা নাগাদ একসঙ্গে বসে চা খান রেণু, নীতিন। এরপর দুজনের ঝামেলা শুরু হয় বাংলো বিক্রি নিয়ে। রেণু কোনওভাবে ওই বাংলো বিক্রি করতে দেবেন না বলে নীতিনকে জানান। যা বছর ৬২-র নীতিন মেনে নিতে পারেননি। বচসার পর ওই দম্পতির হাতাহাতি শুরু হলে, রেণুকে নীতিন আঘাত করেন। আঘাতের পর রেণুমাটিতে পড়ে গেলে, নীতিন স্ত্রীর গলা চেপে তাঁকে খুন করেন বলে পুলিশি জেরায় স্বীকার করেন।

সোমবার রেণুর ভাই একাধিকবার দিদিকে ফোন করলেও, কোনও সাড়া পাননি। এরপর তিনি পুলিশের  দ্বারস্থ হন। পুলিশ জোর করে নীতিন সিনহার নয়ডার বাংলোয় প্রবেশ করলে, উপরতলার শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় রেণুর দেহ। জান যায়, রবিবার রেণুকে খুনের পর তাঁর দেহ প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে শৌচাগারে লুকিয়ে রাখেন নীতিন। যে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ফের শিউরে উঠতে শুরু করেছেন মানুষ।