নির্মলা সীতারমণ (Photo Credit: ANI)

নতুন দিল্লি, ১৯ জানুয়ারি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে এবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের মুখে শোনা গেল লেখিকা তসলিমা নাসরিনের (Taslima Nasreen) নাম। নতুন এই আইন ধর্মীয় বিভাজনমূলক নয়, এটা বোঝাতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) উদাহরণ দিলেন তসলিমা নাসরিনের। তাঁর বক্তব্য, আদনান সামি, তসলিমা নাসরিনদের উদাহরণ দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যায়, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন সৃষ্টিকারী নয়। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কথায় অনেকেরই ধারণা জন্মেছে, এবার কি তাহলে ভারতের নাগরিকত্ব পেতে চলেছেন তসলিমা!

বাংলাদেশে মৌলবাদের প্রতিবাদ করায় সেদেশে মৌলবাদীদের আক্রমণের শিকার হতে হয় তাঁকে। তারপর থেকেই ভারতের আশ্রয়ে আছেন লেখিকা (Writer)। ২০০৪ সাল থেকে দিল্লিতে রেসিডেন্স ভিসা নিয়ে বসবাস করছেন লেখিকা। সিএএ নিয়ে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলছেন, “৩৯১ জন আফগান মুসলিম এবং ১৫৯৫ জন পাকিস্তানি শরণার্থী মুসলিম ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। এই সময়ই ২০১৬ সালে আদনান সামিকে (Adnan Sami) নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। আরও একটি উদাহরণ তসলিমা নাসরিন। শুধু এক বছরেই ২৮৩৮ জন পাকিস্তানি উদ্বাস্তু, ৯৪৮ জন আফগান এবং ১৭২ জন বাংলাদেশি উদ্বাস্তু ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছেন।  হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুযায়ী,  ১৯৬৪ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত প্রায় ৪ লক্ষ শ্রীলঙ্কার তামিল সম্প্রদায়ের মানুষ এদেশের নাগরিক হয়েছেন। এতেই বোঝা যায় আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভুল।” আরও পড়ুন: Sheikh Hasina On CAA: ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও সিএএ 'অপ্রয়োজনীয়', মতপ্রকাশ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

উল্লেখ্য, প্রায় একই পরিস্থিতিতে পাক গায়ক (Singer) আদনান সামিকে এদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর তসলিমার নাগরিকত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাছাড়া তসলিমাও এই আইনকে (Act) সমর্থন করেছেন। তসলিমার মতে, এই আইনটি উদার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, “শুনে ভাল লাগছে যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান আর আফগানিস্তানে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার মানুষেরা এদেশের নাগরিকত্ব পাবেন। এটা খুব ভাল এবং উদার ভাবনা।” পাশাপাশি সরকারের কাছে তাঁর আবেদন, “যাঁরা আমার মতো উদারপন্থী মুসলিম, তাঁদের উপরও বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে নিপীড়ন হয়। তাঁদেরও ভারতে থাকার অধিকার পাওয়া উচিত।”