Representative Image

পুনে : প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক গর্ভবতী মহিলার (Pregnant Women) চিকিৎসার অবহেলার অভিযোগ ওঠে দুই চিকিৎসক ও তিন নার্সের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তাদের অবহেলার কারনেই গর্ভবতী মহিলার শিশুটি জন্মের সময়ই মৃত্যু হয়। মহিলার পরিবার ওই দুই চিকিৎসক (Doctors) ও তিন নার্সের (Nurses) বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন । এই মামলায় আউন্ধ জেনারেল হাসপাতালের ওই ৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। প্রত্যেককে ৫০,০০০ টাকা জরিমানা ও দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি ওই মহিলাকে এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ জারি করা হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন ডা. অর্পিতা প্রদীপ বাওয়ারকর, ডাঃ আত্মরাম ভেঙ্কটারাও শেজুল, নার্স মনীষা ভালচন্দ্র যোশী, উজ্জ্বলা দত্তাত্রয় নাগাপুর এবং শুভাঙ্গী রামচন্দ্র কাম্বলে। আউন্ধ হাসপাতালের চালক ভগবান দৌলত ওয়াকোদে এই বিষয়ে সাংভি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত তার মেয়ে মনীষাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

আরও পড়ুন :  Manipur Viral Video: ‘সাংবিধানিক ব্যর্থতা’, মণিপুরের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া সুপ্রিম কোর্টের

উল্লেখ্য, ওই চালক তাঁর মেয়ে মনীষাকে ২০১০ সালে ২৯ নভেম্বর আউন্ধ হাসপাতালে ভর্তি করেছিল। তাঁর প্রসব যন্ত্রণা সম্পর্কে ডা. বারওয়াকর, ড. সেজুলকে বলা হলে তাঁরা পরীক্ষায় অবহেলা করেন। এছাড়াও, মনীষার পেটে ব্যথার কথা ডাক্তারকে বলতে রাজি হননি নার্সরাও। চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলায় মনীষার সন্তান জন্মের সময় মারা যায়। তাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন মনীষার বাবা।অবশেষে উপযুক্ত সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।