গত ৫ মাস ধরে জেলবন্দি ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। আর তাঁর গ্রেফতারির পর থেকেই রাজধানীর অবস্থা সবথেকে বেশি শোচনীয় হয়েছে। প্রবল বর্ষায় নিকাশি ব্যবস্থায় সমস্যা, জল জমেছে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে। এমনকী এই বছরেই তীব্র গরমে জল সংকটের মতো সমস্যাও দেখা গিয়েছে দিল্লিতে। আর এই সমস্ত সমস্যা মোকাবিলা করতে কার্যত হিমসিম খেতে হচ্ছিল আপ সরকারকে। তবে দিল্লি সরকার এবং রাজ্যবাসীকে সমস্যায় ফেলার পেছনে বিজেপির বড়সড় চক্রান্ত ছিল বলে দাবি করছেন খোদ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী এই চক্রান্তের কথা নাকি তাঁর কাছে ফাঁস করেছেন কোনও এক বিজেপি নেতা। শুক্রবার বিধানসভায় এমনটাই দাবি করলেন খোদ কেজরিওয়াল।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, "রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অতিশিজির সঙ্গে দিনদুয়েক আগে আমি কয়েকটি এলাকার রাস্তাঘাট পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখি সত্যিই রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। আমি এক বিজেপি নেতাকে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জিজ্ঞেস করি, আমায় গ্রেফতার করে আপনাদের কি লাভ হল? জবাবে তিনি হেসে বলেন, দিল্লি সরকারকে আমরা বেলাইন করতে পেরেছি। সরকারকে বিপদে ফেলতে পেরেছি। ওনার কথা শুনে আমি চমকে যাই। তাহলে কি শুধুই আপ সরকারকে সমস্যায় ফেলা, রাজ্যবাসীকে সমস্যায় ফেলাই এদের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল? আমাকে গ্রেফতার করে দিল্লিবাসীর কাছে আপ সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করে ভোটে জেতাই এদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল"।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল আরও বলেন, "কয়েকদিন আগে আমি আরএসএস নেতা মোহন ভাগবতকে চিঠি লিখে কয়েকটি প্রশ্ন করেছিলাম। যারমধ্যে অন্যতম ছিল, উনি কি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর সরকার যেভাবে দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাকে গ্রেফতারির ভয় দেখিয়ে নিজেদের দলে একের পর এক অন্য দলের নেতাদের যোগ করছেন, সেটা কী ভালো করছেন? যাঁদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ, যেমন ২৭ মে ২০২৩-এ অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে ৭০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। ২৭ জুন ২০২৩-এ বিজেপির সঙ্গে যোগ হয় এবং পাঁচদিন পরে সরকারে মন্ত্রীত্বও পেয়ে গেলে অজিত পাওয়ার"।