
গতকাল হরিয়ানা এবং জম্ম-কাশ্মীরে নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হয়েছে। আর এই নির্বাচনে একদিকে যেমন উপত্যকায় হারতে হয়েছে বিজেপিকে, তেমনই অন্যদিকে হরিয়ানায় একক শক্তিশালী দল হিসেবে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গড়ছে বিজেপি। তবে দুই রাজ্যেই কংগ্রেস হাল অত্যন্ত শোচনীয়। জম্মু-কাশ্মীরে ইন্ডিয়া জোটের কারণে ওমর আবদুল্লাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু তাতেও মাত্র ৬টি সিটে জিতেছে তাঁরা। হরিয়ানায় জিতেছে ৩৬টি আসন। অন্যদিকে বিজেপির দখলে ৪৮টি। ফলে লোকসভা নির্বাচনের পরেও মানুষের মনে জায়গা করতে ব্যর্থ কংগ্রেসর। আর এই কারণেই কংগ্রেসের সমালোচনা শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। এমনকী বুধবার সমালোচনা করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও (PM Narendra Modi)।
এদিন তিনি বলেন, গতকাল হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। হরিয়ানায় তৃতীয়বার সরকার গড়তে চলেছি। কংগ্রেস বরাবরই জনতাকে বিভ্রান্ত করার পরিবেশ তৈরি করে। ওরা দলিতদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। সরকার আসলে সংরক্ষণ তুলে দিয়ে দলের নেতা কর্মীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার হত। কৃষকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। কংগ্রেস যুবসমাজকে প্রলোভন দেখিয়ে ভোট নেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু বিজেপি তা করেনি। বিজেপি প্রথম থেকেই রাজ্যবাসীর সাহায্য করেছে, উন্নয়ন করেছে। তাই এখানকার জনতাও কংগ্রেসকে ভরসা না করে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে।
মোদী আরও বলেন, কংগ্রেস সর্বদা বিভাজনের রাজনীতি করে ভোটারদের বিভ্রান্ত করেছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিয়ে তাঁরা সেভাবে কথা বলেন না। কিন্তু যখনই হিন্দুদের জন্য কাজ করা হয়. তখনই বিভাজনের রাজনীতি করে কংগ্রেস। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে ভোটে জেতার চেষ্টা করছে। মানুষ তাঁদের চক্রান্ত বুঝতে পেরেছে এবং তাঁদের উদ্দেশ্য সফল করতে দেয়নি।