যুগ যতই সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলুক গ্রামেগঞ্জে আজও মানুষ কুসংস্কারে আচ্ছন্ন। অসুখ করলে চিকিৎসকের বদলে এখনও বহু মানুষ রয়েছেন যারা তন্ত্র সাধনায় বিশ্বাস রাখেন। তাতে সুস্থতা কতটা আসে তা জানা নেই তবে উলটে বিপদ আসে তা বলাইবাহুল্য। চিকিৎসার নাম করে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। তার জেরে দশম শ্রেণির ছাত্রী জন্ম দিয়েছেন শিশু কন্যার। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের (Rajasthan) সালুম্বর জেলায়। নাবালিকা সন্তান জন্ম দেওয়ার খবরে যখন হৈচৈ পড়ে গিয়েছে সর্বত্র, তখনই সামনে আসে তান্ত্রিকের কুকীর্তির কথা।
গত ৬ জুন গ্রামের এক হাসপাতালে শিশুকন্যার জন্ম দেয় দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী। হাসাপাতাল তরফে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। জানানো হয়, সদ্য মা হওয়া ওই তরুণী একজন নাবালিকা। এরপরেই পরিবার থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগে তারা বলেন, মেয়ের চিকিৎসার নাম করে তাঁকে ধর্ষণ করেছে গ্রামেরই এক তান্ত্রিক। যিনি পেশায় একজন সরকারি কর্মীও। ধর্ষিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত তান্ত্রিক এবং তাঁর দুই সহকারী।
নির্যাতিতার বাবা জানান, সালুম্বর পঞ্চায়েত কমিটির কাছে তাঁরা থাকেন। ওই তান্ত্রিক লক্ষণের সঙ্গে সেখানেই তাঁদের পরিচয়। মেয়ের অসুস্থতার কথা জেনে তান্ত্রিক তাঁদের বলেছিলেন, তিনি তন্ত্র সাধনার সাহায্যে মেয়েকে সুস্থ করে দেবেন।
এক পুলিশ আধিকারিক জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সদ্যজাতের ডিএনএ (DNA) পরীক্ষার জন্যে নমুনা পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে জানা যাবে সন্তানের বাবা আসলে ওই তান্ত্রিক কিনা'।