মুম্বই, ৫ অক্টোবর: মুরগীর যকৃৎ না নিয়ে ১০ টাকা দিয়ে চকলেট কিনেছিল বছর ছয়েকের খুদে। এই অপরাধে নাবালিকের গোপনাঙ্গে গরম চামচের ছ্যাঁকা দিল পিসি (Mumbai Woman)। গত ২৯ সেপ্টেম্বর এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের মালভনি থানা এলাকায়। অভিযুক্তের ননদের দায়ের করা সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কালপ্রিট পিসিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই মুহূর্তে গুরুর অসুস্থ অবস্থায় মুম্বইের কেইএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে নাবালিকা। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে, তিন মাস বয়সে মায়ের মৃত্যুর পর মদ্যপ বাবা শিশুকন্যাকে ফেলে চলে যায়। তখন থেকে পিসির তত্ত্বাবধানেই নাবালিকার দিন কাটছিল। শিশুকন্যা সামান্য বড় হতে না হতেই তাকে দিয়ে বাড়ির সমস্ত কাজ করাতো অভিযুক্ত পিসি।
জানা গিয়েছে, শনিবার ওই মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুসারে ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে শিশু শ্রম আইন এবং পকসো আইনের আওতায়ও মামলা রুজু হয়েছে। আগামী ৫ অক্টোবর অর্থাৎ আজ সোমবার ধৃতকে আদালতে তোলা হবে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর নাবালিকাকে ৫০ টাকা দিয়ে মুরগীর মাংস কিনতে পাঠায় ওই পিসি। ৪০ টাকার মাংস কিনতে হবে সঙ্গে ১০ টাকার যকৃৎ। শিশুমন কি আর এত নিয়ম মানতে পারে। মাংস কিনলেও বাকি ১০ টাকায় সে চকলেট কিনেছিল। বাড়ি পিরতে না ফিরতেই শুরু শাস্তির আয়োজন। যকৃৎ নেই দেখে ততক্ষণে তুমুল ক্ষিপ্ত পিসি। অভিযোগ, দড়ি দিয়ে প্রথমে নাবালিকাকে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলা হয়। তারপর চামচ গরম করে নাবালিকার গোপনাঙ্গে চলে একের পর এক ছ্যাঁকা দেওয়া। আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: লাখের গণ্ডী টপকে গেল ভারতে করোনার বলি, মোট আক্রান্ত ৬৬ লাখেরও বেশি
ওদিনই শিশুটিকে দেখতে অভিযুক্তের ননদ বাড়িতে এসেছিলেন। নাবালিকাকে দেখার পর তাঁর সন্দেহ হয়। পিসি আড়াল হতেই দেখেন বাচ্চাটি ব্যথায় কুঁকরে আছে। প্রশ্ন করতেই কাঁদতে কাঁদতে সবটাই বলে দেয় শিশুকন্যা। এরপরই তাকে স্থানীয় শতাব্দী হাসপাতালের ভর্তির ব্যবস্থা করেন অভিযোগকারিণী। পরে সেখান থেকে নাবালিকাকে আর এন কুপার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এখন নাবালিকা মুম্বইয়ের কেইএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।