মুম্বই, ১৬ সেপ্টেম্বরঃ নিজের সদ্যজাত সন্তানকে খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টার অপরাধে মুম্বই পুলিশ গ্রেফতার করেছে এক মহিলাকে। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) পালঘর নিবাসী ওই মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিজের ১৫ দিনের কন্যা সন্তানকে খুন করেছেন। শুধু তাই নয়, নির্জন এলাকায় গিয়ে ফেলে আসেন নবজাতকের মৃতদেহ। সন্তান জন্মের পর মঙ্গলবার স্বাস্থ্য কর্মীরা মহিলার বাড়িতে আসেন। কিন্তু এসে দেখেন সদ্যজাত শিশুকন্যা নিখোঁজ। তখনই বিষয়টা সন্দেহভাজন লাগে তাদের। এরপরেই তারা খবর দেয় পুলিশে। পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করতেই বিষয়টা গোটা এলাকায় জানাজানি হয়।
এক জাতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, অভিযুক্ত মহিলার নাম শ্রেয়া প্রুভু। বয়স ৩২। অভিযুক্তের একটি সাত বছরের মেয়ে এবং চার বছরের ছেলে রয়েছে। স্বামী প্রভু কাজের সূত্রে থাকেন মুম্বই (Mumbai)। সন্তানদের নিয়ে শ্রেয়া থাকেন পালঘরের ঘিবলি গ্রামে। গত ২০ অগাস্ট গ্রামের এক হাসপাতালে ২,৭০০ গ্রামের একটি সুস্থ কন্যা সন্তানের জন্ম দেন শ্রেয়া। সন্তান জন্মের দুদিনের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তরুণী। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর আশা কর্মীরা তার বাড়িতে যান সদ্যজাতকে দেখতে। ওজন করে দেখেন ২,৭০০ থেকে ৩,১০০ হয়েছে একরত্তি। এক সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় শ্রেয়ার বাড়িতে আসে আশা কর্মীরা। তখনই দেখেন শিশুকন্যা নিখোঁজ। যদিও তরুণী জানান, এক আত্মীয়য়ের বাড়িতে পাঠিয়েছেন মেয়েকে। কিন্তু তার ব্যবহার কিংবা কথায় সত্যতা অনুভব হয়নি আশা কর্মীদের। তৎক্ষণাৎ তারা খবর দেন পুলিশে।
পুলিশি এসে কয়েক দফা জেরা করতেই নিজের অপরাধ স্বীকার করেন তরুণী। জনান, ৪ সেপ্টেম্বর সদ্যজাত কন্যাকে শ্বাসরোগ করে খুন করেছেন তিনি। অভিযুক্ত আরও জনান, সন্তানের মৃতদেহ কাপড়ে মুড়ে বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে নির্জন এলাকায় ফেলে আসেন তিনি। পুলিশের কাছে শ্রেয়ার স্বীকারোক্তি, তৃতীয় সন্তান চাননি তিনি।