তিরুবনন্তপুরম, ২৮ নভেম্বরঃ মায়ের সামনেই দুই মেয়ের শ্লীলতাহানি, তাও মায়ের দুই প্রেমিকের দ্বারা। কেরলের স্পেশাল ফাস্ট ট্র্যাক আদালত সোমবার মহিলাকে পকসো (POCSO) মামলায় ৪০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০,০০০ টাকা জরিমানার সাজা শুনিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মার্চ ২০১৮ থেকে সেপ্টেম্বর ২০১৯ এর মধ্যে। সেই সময়েই ওই মহিলা নিজের মানসিকভাবে অসুস্থ স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। দুই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ছাড়েন তিনি। একজনের বয়স ১১। অপরজনের বয়স ৭। ওই মহিলার আরও এক প্রেমিক ছিল। মাঝে মধ্যেই ওই প্রেমিকের বাড়িতে নিজের দুই মেয়েকে নিয়ে আসতেন তিনি। মায়ের দুই প্রেমিকের যৌনতার শিকার হয় দুই মেয়েই। একবার নয় বারেবারে। এমনকি মহিলার উপস্থিতিতেও তাঁর এক প্রেমিক তাঁর ছোট মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে। যার জেরে ক্ষতবিক্ষত হয় একরত্তি মেয়ের গোপনাঙ্গ।
মায়ের প্রেমিকদের হাতে নির্যাতন হওয়ার কথা বাইরে কাউকে বলতে সাহস পায়নি দুই বোনের কেউই। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁদের প্রাণের হুমকি দিয়েছিল। শেষমেশ বোনকে নিয়ে দিদি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আসে। দিদার বাড়িতে বোনকে নিয়ে গিয়ে ওঠে ১১ বছরের কিশোরী। দিদা সমস্ত ঘটনা শুনে তাঁদের কাউন্সেলিং করাতে নিয়ে যায়। দুই নাতনিকে নিয়ে আইনের দারস্ত হন দিদা।
স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আরএস বিজয় মোহন এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, 'মাতৃত্বের জন্য লজ্জাজনক এক ঘটনা। ক্ষমার অযোগ্য। এই অপরাধের জন্যে মহিলাকে সর্বোচ্চ সাজা শুনিয়েছে আদালত। ৪০ বছরের জন্যে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০,০০০ টাকা জরিমানা। মহিলার দুই মেয়েকে যৌন নির্যাতন করা করেছে তাঁরই দুই প্রেমিক। অভিযুক্তের স্বামী মানসিক রোগী। আর সেই কারনে সন্তানদের নিয়ে বাড়ি ছেড়ে দুই প্রেমিকের সঙ্গেই থাকছিলেন অভিযুক্ত মহিলা'।