রুক্ষ-শুষ্ক চুল হলে দেখতে খারাপ লাগে। তবে বাড়িতেই কয়কেটি নিয়ম মানলে রুক্ষ চুল হবে নরম, মসৃন।কেমিক্যাল যুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার, গরম জল ব্যবহার, পুষ্টির অভাব ও অযত্নের ফলে চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। এর ফলে অনেকের চুল পড়তে শুরু করে। চুলের যত্নে ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চললেই উপকার পাবেন।

ডিম ও টক দই দুটোই চুলের জন্য উপকারি। প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে ডিমে আর টক দইয়ে রয়েছে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। তাই ডিম ও টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করুন। মাথার ত্বকে ও চুলে লাগান। সপ্তাহে অন্ততপক্ষে ২ বার ব্যবহার করুন। চুলের শুষ্কতা দূর হবে এবং চুল পড়া রোধ হবে।

চুলে সব সময় ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। চুলের ক্ষতি করে কেমিক্যাল যুক্ত শ্যাম্পু। তাই আর্য়ূবেদিক বা ক্যমিক্যাল হীন শ্যাম্পু চুলকে নরম রাখবে। চুল ধোয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ জল ব্যবহার করুন। গরম জল নয়। এর পাশাপাশি শ্যাম্পু ব্যবহারের পর চুল ধুয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরী কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এটি চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

চুলে কোন রকম জেল বা হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করবেন না। চুলকে অনেক বেশি রুক্ষ করে এই ধরনের জেল ব্যবহার করলে। চুল স্ট্রেটনার বা হেয়ার ড্রাইয়ারও কম ব্যবহার করুন। প্রয়োজন না হলে এড়িয়ে চলুন।

চুলে ব্যবহার করুন নারকেল তেল। হালকা গরম নারকেল তেল দিয়ে নিয়মিত চুল ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এতে চুল নরম থাকবে। যেকোনো এসেনশিয়াল অয়েল চুলে ব্যবহার করতে পারেন। ভালো কাজ পেতে নারকেল তেলে সামান্য অলিভ অয়েল ও সামান্য এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। চুলের শুষ্কতা দূর হবে। অলিভ অয়েলের সঙ্গে সামান্য চিনি মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। এতে চুল পড়া বন্ধ হবে, খুশকির দূর হবে। ফলে চুলের রুক্ষতা কমে যাবে।