বিস্ফোরণের পর তৃণমূল নেতার বাড়ির হাল (Photo Credits: IANS)

কাঁথি: পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা (West Bengal's LOP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পৈত্রিক বাড়ির (ancestral residence) কাছে অবস্থিত তৃণমূলের বুথ সভাপতির (TMC booth president)  বাড়িতে গত শুক্রবার রাতে বিস্ফোরণ (explosion) হয়েছিল। এর ফলে ওই তৃণমূল নেতা রাজকুমার মান্না (Rajkumar Manna)-সহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুরে ওই মৃত নেতার স্ত্রী (Wife) লতারানী মান্না (Latarani Manna) পুলিশকে জানালেন যে তাঁর স্বামী অবৈধ বাজির (illegal firecrackers) ব্যবসা (Business) করত। সেগুলিতেই আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটেছে। তাঁর এই বিবৃতির কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই ফের সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি।

স্থানীয় সাব ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার সোমনাথ সাহার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রবিবার দুপুরে মৃত রাজকুমার মান্নার স্ত্রী লতারানী মান্না পুলিশকে জানায় তাঁর স্বামী অবৈধ বাজির ব্যবসা করত। শুক্রবার রাতে বাজি কারখানায় কাজ করা কর্মচারীরা ধূমপান করতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটে। এর ফলে রাজকুমার মান্না ও তাঁর ভাই-সহ তিনজনের মৃত্যু হয়।

লতারানী মান্না আরও অভিযোগ করেন যে, তিনি বারবার স্বামীকে অবৈধ বাজির ব্যবসা করতে বারণ করতেন। কিন্তু, কোনওদিনই তাঁর কথা শোনেনি রাজকুমার। যার দাম তাকে জীবন দিয়েই চোকাতে হল।

যদিও বিজেপি ও সিপিএম নেতাদের দাবি, তৃণমূল ও পুলিশের চাপেই মিথ্যে কথা বলছে ওই মহিলা। আসল ঘটনা চাপা দিতেই অবৈধ বাজির ব্যবসার কথা বলা হচ্ছে। এপ্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, বিস্ফোরণের ধরন দেখেই বোঝা যাচ্ছে ওখানে বোমা তৈরি করা হত। কিন্ত, শাসক দল ও পুলিশের চাপে মৃতের স্ত্রী আসল সত্য চাপা দিতে চাইছে।

প্রায় একই সুর শোনা যাচ্ছে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর গলাতেও। তিনি জানান, যেভাবে আগামী বছর হতে চলা পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। যার অনুপ্রেরণা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে দেওয়া হচ্ছে। লতারানী মান্নার স্বীকারোক্তি সেই ঘটনারই অঙ্গ।

এদিকে তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার জানান, তদন্ত তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতেই হবে। বিজেপি ও সিপিএম নেতাদের কল্পনার উপর ভিত্তি করে নয়।