আজ, মহালয়া(Mahlaya)। আর এই তিথিতেই পিতৃপক্ষের অবসান ঘটে মাতৃপক্ষের সূচনা হয়। দেবীপক্ষের এই উত্তরণটাকেই বলা হয়ে থাকে মহালয়া। মহান আলয় এই শব্দ থেকেই মহালয়ার সৃষ্টি। মূলত পিতৃলোককে বোঝাতেই এটি ব্যবহৃত হয়। আশ্বিন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের শেষ হয়ে এদিন থেকে দেবীপক্ষ সূচনা হয়। এই দিনই রামচন্দ্র রাবণকে বধ করার জন্য অসময়ে দেবীর আরাধনা করেছিলেন। শারদীয়া দুর্গোৎসবকে অকাল বোধন বলা হয়ে থাকে। দেবীর আশীর্বাদেই অশুভ শক্তির বিনাস হয়ে নতুন ভোরের সৃষ্টি হয়েছিল। বাঙালির জীবনে এই দিনটির মাহাত্ম অনেক।
জেনে নিন মহালয়ার ইতিহাস ও ব্যাখ্যা
এদিনেই পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে তিল-জল-অন্ন অর্পণ করেন বাঙালি পুরুষরা। জলে দাঁড়িয়ে পূর্ব পুরুষদের স্মরণ করার রীতি রয়েছে। এছাড়া মহালয়ার ভোরে বাংলার ঘরে ঘরে 'মহিষাসুর মর্দিনী' শোনার চল রয়েছে। প্রতি ঘর থেকে ভেসে আসে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের গলার আওয়াজ। 'আশ্বিনের শারদপ্রাতে, বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জির' বাঙালির আবেগকে জাগিয়ে তুলতে এই দুই লাইনই যথেষ্ট। শুধু বাংলাতেই নয়, পৃথিবীর কোণায় কোণায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাঙালির মনে আনন্দ এনে দেয় এই গলা। সেই সঙ্গে উৎসবের দিনে প্রিয়জনদের জন্য কেঁদে ওঠে মন।