হরিয়ানায় জয় নিয়ে উচ্ছ্বসিত বিজেপি শিবির। গত লোকসভা নির্বাচনে যেখানে আসন সংখ্যা কমে যাওয়ায় জাটভূম আদৌ দখলে রাখতে পারবে কিনা, এই দুঃশ্চিন্তা চলছিল, তা এখন একেবারেই কমে গিয়েছে। হরিয়ানাকে শুধু নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছে শুধু তাই নয়, আসন সংখ্যাও যথেষ্ট বেড়েছে বিজেপির। আর অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোট যখন শক্তিশালী হচ্ছে, তখন কংগ্রেস আরও দুর্বল হয়ে পড়ছে। লোকসভা নির্বাচনেও তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল এবং সদ্য জম্মু-কাশ্মীর নির্বাচন ও হরিয়ানাতেও তার প্রমাণ লক্ষণীয়। আর এই নিয়ে সমালোচনা করতে ছাড়ছে না বিজেপি নেতৃত্ব।
বুধবার কংগ্রেস নেত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani) বলেন, হরিয়ানাবাসীর ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে উন্নয়নমূলক কাজের জয়। এই জয়ের কারণে আগামী দিনে আরও যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে তারজন্য দলীয় কর্মী সমর্থকদের আরও উৎসাহিত করবে। কংগ্রেসের মতো দুর্বল দলের সঙ্গে কারা জোট রাখবে তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। কারণ তাঁরা তাঁদের শরিক দলগুলির থেকেও শক্তিহীন হয়ে পড়েছে।
বিজেপি নেত্রী আরও বলেন, উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের সঙ্গে শরিক দলের নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হচ্ছে। যা নিয়ে প্রকাশ্যে কথাও হচ্ছে। জম্মু-কাশ্মীরে ইন্ডিয়া জোট সরকার গড়লেও কংগ্রেসের কোনও দাম নেই। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস এতটাই দুর্বল যে একা লড়ার ক্ষমতা নেই এবং বাংলায় তো তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে দ্বন্দ্ব রয়েছে। ফলে আদৌ এই জোট কতদিন থাকে সেটাই দেখার।