এখনও খোঁজ মেলেনি বাংলাদেশের আওগামী লিগের সাংসদ আনওয়ারুল আজিম আনারের (Anwarul Azim Anar) দেহ। এদিকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে বেশ কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম কসাই জিহাদ হাওলাদার। বনগাঁ থেকে গত বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করে শুক্রবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। সেখানে ১২ দিনের সিআইডিকে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। তবে ১২ দিন হয়ে গেলেও এখনও উদ্ধার হয়নি সাংসদের দেহ। এরমধ্যে আনওয়ারুল যে আবাসনে উঠেছিলেন, সেখানকার একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে অভিযুক্তদের সঙ্গে একটি রহস্যজনক স্যুটকেস দেখা গিয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, ওই ট্রলি ব্যাগের মধ্যে থাকতে পারে সাংসদের দেহাংশ। প্রথমে আনওয়ারুলকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তারপর জিহাদ দেহটি টুকরো টুকরো করে চামড়া ছাড়ায়। এরপর দেহাংশে হলুদ লাগিয়ে আলাদা আলাদা প্যাকেটে ভরে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পাচার করা হয়। ফলে সাংসদের দেহ ঠিক কোথায় রয়েছে তার খোঁজে চালাচ্ছে সিআইডি এবং বাংলাদেশি পুলিশের যৌথ বাহিনী।
📹 Watch | Bangladesh MP’s Killers Took Body Parts In Suitcase? CCTV Footage Emerges pic.twitter.com/D6mlKQN12j
— NDTV (@ndtv) May 24, 2024
এদিকে তদন্তসূত্রে বাংলাদেশ থেকে গ্রেফতার হয়েছে এক যুবতী। জানা যাচ্ছে ঘটনার মূল চক্রী আখতারুজ্জামানের বান্ধবী শিলাস্তি রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই রহস্যময়ী মহিলাকে দিয়েই হানি ট্র্যাপের মাধ্যমে আনওয়ারুল আজিম আনারকে জালে জড়ানো হয়েছিল। শিলাস্তিকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সবমিলিয়ে একটা বিষয় পরিষ্কার যে আনওয়ারুলকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছিল।