র বুকে চলছিল ভুয়ো ভিসা বানানোর রমরমা বাজার। তিলক নগরে (Tilak Nagar) তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বাজেয়াপ্ত কমপক্ষে ৩০ থেকে ৬০টি ভিসা, লক্ষাধিক টাকা এবং ভুয়ো ভিসা বানানোর অত্যাধুনিক সরঞ্জাম। জানা যাচ্ছে, গত ৫ বছর ধরে এই ব্যবসা থেকে কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকা আয় করেছেন এই চক্রের মূল অভিযুক্ত মনোজ মোঙ্গা। শুক্রবারই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও ৫ অভিযুক্তদের। যাদের নাম যথাক্রমে আসিফ আলি, শিবা গৌতম, নবীন রানা, বলবীর সিং ও জসবীন্দর সিং। পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, এই চক্রটি টেলিগ্রাম, সিগন্যাল ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যারা ঘুরপথে ভিসা বানাতে চাইতেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করত। এবং এক একটি ভিসা বানাতে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা নিতেন।
তদন্তসূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২ সেপ্টেম্বর দিল্লি বিমানবন্দরে সন্দীপ নামে হরিয়ানার এক ব্যক্তি ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে সুইডিশ ভিসা নিয়ে আসে। পরীক্ষা করে দেখা যায় যে ভিসাটি সম্পূর্ণরূপে ভুয়ো। তাঁকে জেরা করে জানা যায়, তাঁদের গ্রামে অনেকেই দিল্লিতে এসে এই ধরণের ভিসা বানিয়ে বিদেশে গিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত করে সন্দীপকে যে ভিসা বানিয়ে দিয়েছিল সেই আসিফ আলি ও তাঁর দুই সহকারী শিবা গৌতম এবং নবীন রানাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের জেরা করে বলবীর সিং ও জসবিন্দর সিংকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর তাঁদের জেরা করেই উঠে আসে মনোজের নাম।
এরপর সম্প্রতি তিলক নগরে একটি পরিত্যক্ত কারখানায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্তকে। জানা যাচ্ছে পেশায় গ্রাফিক্স ডিজাইনার মনোজ বেশ কয়েকবছর আগেই গ্রাফিক্স ডিজাইনিংয়ে ডিপ্লোমা নিয়ে পাশ করে। তার জয়দীপ সিং নামে এক ব্যক্তির পরামর্শে এই ব্যবসা শুরু করে। এবং সেই তাঁকে যাবতীয় সরঞ্জাম দেয়। আর এই পাঁচ বছরে ভুয়ো ভিসা বানিয়ে ৫০০ কোটি টাকা করেছে মনোজ। এদিন তল্লাশি অভিযানে ১৬টি নেপালি পাসপোর্ট, ২ ভারতীয়, ৩০টি ভিসা স্টিকার, ২৩টি ভিসা স্ট্যাম্প, বেশকয়েকটি প্রিন্টার, ল্যামিনেটিং শিট, ল্যাপটপ, ইউভি মেশিন, ডাই মেশিন উদ্ধার করেছে পুলিশ।