নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশের আমেঠিতে ট্রেনে যাত্রীদের মধ্যে বিবাদ এতটাই বেড়ে যায় যে ট্রেনের মধ্যে খুন হলেন এক যুবক। শুধু তাই নয়, নিহতের দুই ভাই তাঁকে বাঁচাতে এলে হামলাকারীরা তাঁদেরও ছুরিকাঘাত করে আহত করে। মামলা দায়ের করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু তাভি থেকে বারাণসীগামী বেগমপুরা এক্সপ্রেস ট্রেনে।
সূত্রে খবর, সুলতানপুর জেলার গৌতমপুর গ্রামের বাসিন্দা দীপক, মিঠুন, পবন ও সুজিত ট্রেনে ভ্রমণ করছিলেন। চারজনই আম্বালা স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন এবং জেনারেল কোচে বসেছিলেন। ট্রেনটি লখনউতে পৌঁছলে আমেথির রানিপুর গ্রামের বাসিন্দা তৌহিদও একই কোচে উঠেছিলেন। কিছুক্ষণ পর সিটে বসা নিয়ে দীপক, মিঠুন, পবন ও সুজিতের সঙ্গে তৌহিদের হাতাহাতি হয়। দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি এতটাই বেড়ে যায় যে বিষয়টি হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। এদিকে তৌহিদ জগদীশপুরে বসবাসরত তাঁর ভাইদের ডেকে নিহালগড় স্টেশনে ডেকে নিয়ে যায়। তৌহিদকে উদ্ধার করতে আসা তাঁর ভাইয়েরা ট্রেনে উঠার সঙ্গে সঙ্গে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ আরও গভীর হয়। বিষয়টি ছুরিকাঘাতে পৌঁছে যায়। হামলায় তৌহিদ ও তার দুই ভাই আহত হয়েছেন।
বিষয়টি বাড়তে দেখে লোকজন নিহালগড় স্টেশনে পুলিশকে খবর দেয়। আরপিএফ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের ট্রেন থেকে সরিয়ে নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসক তৌহিদকে মৃত ঘোষণা করেন। তালিব নামে এক ব্যক্তির গুরুতর অবস্থা দেখে তাকে লখনউতে রেফার করা হয়। তৌহিদের এক ভাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।