প্রতীকী ছবি (File Image)

হাসপাতালে সামন্য বচসা, আর সেই বচসার জেরে সপাটে থাপ্পড় মারা হয়ছিল। অপমানের প্রতিশোধ নিতে শিক্ষকের গোটা পরিবারকেই খুন করল একদল ব্যক্তি। গত বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আমেঠির ভবানী নগর এলাকায়। পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে চন্দন ভার্মা ও তাঁর দলবল এদিন আচমকাই দলিত শিক্ষক সুনীল কুমারের বাড়িতে ঢুকে এলোপাথারি গুলি চালাতে থাকে। আর তাতেই খুন হয় সুনীল ও তাঁর স্ত্রী পুনম ভারতী এবং তাঁদের ৬ ও ১ বছরের কন্যা সন্তান। গোটা ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এসসি- এসটি আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনা রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে উত্তরপ্রদেশে।  বিবৃতি দিতে বাধ্য হয়েছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার নির্দেশও দিয়েছে।

ঘটনার শুরু প্রায় মাসদুয়েক আগে। গত ১৮ অগাস্ট রায় বারেলির এক হাসপাতালে সুনীল ও তাঁর স্ত্রী পুনম ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন। সেই সময় কোনও কারণে বচসা বেধেছিল চন্দনের সঙ্গে। কথা কাটাকাটির মাঝেই মহিলা চন্দনকে সপাটে থাপ্পড় মেরেছিল। তারপরেই রেগে চন্দন তাঁদের খুন করার হুমকি দেয়। এরপর থেকে প্রায়শই অচেনা নম্বর থেকে সুনীলের ফোনে প্রায়শই হুমকি ফোন আসতে থাকে। বাধ্য হয়ে পুনম থানায় অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু এফআইআর দায়েরের পরেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয় না বলে অভিযোগ।

গত ২ অক্টোবর ভবানী নগরে একটি মেলা চলছিল। পাহাড়ায় ছিল অসংখ্য পুলিশ। তার মাঝেই একদল দুষ্কৃতি নিয়েে সুনীলের বাড়িতে হামলা চালায় চন্দন। আর এই হামলাতেই মৃত্যু হয় গোটা পরিবারের। তদন্তে জানা গিয়েছে, খুন করতে যাওয়ার আগে আমেঠির একটি মন্দিরে পুজোও দেয় চন্দন। এছাড়া গত ১২ সেপ্টেম্বর নিজের হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে চন্দন এই লিথেছিল যে খুব শীঘ্রই আমার হাতে ৫ জন খুন হবে।