Lockdown in India Extension: আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হল লকডাউনের মেয়াদ, মুখ্যমন্ত্রীদের আর্জিতে সায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির

বাড়ল লকডাউনের মেয়াদ। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হল লকডাউন। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করার পর এই সিদ্ধান্ত নেন। দেশজুড়ে যে হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে লকডাউন বাড়ানো জরুরি বলে মনে করেছেন তিনি। সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। (Photo Credits: Getty Images)

নতুন দিল্লি, ১১ এপ্রিল: বাড়ল লকডাউনের মেয়াদ। আগামী ৩০ এপ্রিল (30th April) পর্যন্ত বাড়ানো হল লকডাউন। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৩ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করার পর এই সিদ্ধান্ত নেন। দেশজুড়ে যে হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে লকডাউন বাড়ানো জরুরি বলে মনে করেছেন তিনি। সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলেন।

লকডাউনের (ভবিষ্যত নিয়ে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi)। আগামী মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল শেষ হচ্ছে লকডাউনের মেয়াদ। বুধবার থেকে কী হবে? লকডাউনের মেয়াদ কি আরও বাড়ানো হবে, নাকি ধাপে ধাপে তা তুলে দেওয়া হবে? এ সব বিষয়কে সামনে রেখেই এ দিন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে মাস্ক (Mask) পরে থাকতে দেখা যায়। আরও পড়ুন, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মাস্ক পরে সচেতনতার বার্তা

বৈঠকে বেশ কয়েকটি দাবি পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, ‘লকডাউন করতে হবে সফল এবং সক্রিয়ভাবে। তবে লকডাউনেও মানবিক দিকগুলি খেয়াল রাখতে হবে। মানুষের জীবন ও জীবিকার মধ্যে সমতা বজায় রাখতে হবে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের জোগান বাজায় রাখতে হবে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের উত্পাদন ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে। বন্ধ রাখা হোক আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা। বন্ধ রাখা হোক দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল। বন্ধ রাখা হোক আন্তর্জাতিক সীমান্ত। দুই মাসের বেতন দেওয়া হোক ১০০ দিনের কর্মীদের। অসংগঠিত শিল্পের শ্রমিকদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করা হোক। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, পর্যটন, কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ প্যাকেজ। পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। পরিযায়ী শ্রমিকদেরও দেখভালের ব্যবস্থা করতে হবে।’