কয়েকদিন আগেই জেল থেকে বেরিয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন মন্ত্রী মণীষ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। একদিকে জেলে থেকেও মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে তাঁরই মন্ত্রীসভায় উপ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মণীষ সিসোদিয়া। কিন্তু জেলে যাওয়ার আগে তিনি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। কিন্তু জামিনে ছাড়া পাওয়ার পরে এখনই তাঁকে কোনও দলীয় পদ বা মন্ত্রিত্ব দিতে রাজি নয় আম আদমি পার্টি। বরং তাঁকে এখন কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে থাকার নির্দেশ দেওয়া হল। একসময়ে কেজরিওয়ালে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সিসোদিয়াকে কী তাহলে এখন দলের মধ্যে একঘরে করে দেওয়া হল? অতিশি, সৌরভ ভরদ্বাজদের ভিড়ে গুরুত্ব কমছে প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রীর? এই প্রশ্নগুলি এখন ছড়িয়ে পড়ছে রাজ্য রাজনীতিতে। তবে দলের এমন সিদ্ধান্ত বিরোধীতা করতে নারাজ সিসোদিয়া।

মণীশ সিসোদিয়ার দাবি, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেই দলের মধ্যে আমার কী ভূমিকা রয়েছে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আমায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যে রাস্তায় রাস্তায় গিয়ে দলের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে মিছিল করি। সাধারণ মানুষদের সঙ্গে দেখা করা এখন আমার কাজ। রাজনৈতিক নেতা হিসেবে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ যে এলাকাবাসীদের সঙ্গে দেখা করা, তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনার। লোকের কাছে যাওয়ার জন্য পদের প্রয়োজন পড়ে না। ভালোবাসার মাধ্যমেও তাঁদের কাছে যাওয়া যায়।

দীর্ঘ ১৭ মাস পর গত সপ্তাহের শুক্রবারই জেল থেকে জামিনে ছাড়া পান আবগারি দুর্নীতি মামলার অন্যতম অভিযুক্ত মণীষ সিসোদিয়া। মূলত তাঁর বিরুদ্ধে এখনও পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ দেখাতে না পারার কারণেই জামিন মঞ্জুর করে দিল্লির রউস অ্যাভিনিউ আদালত। জেলে যাওয়ার পর থেকেই দলের সঙ্গে দুরত্ব বেড়েছিল সিসোদিয়ার।