
দিল্লি, ১৯ মার্চ: মেয়ের জন্মদিনে লন্ডন থেকে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মীরাটের (Meerut) বাড়িতে ফিরেছিলেন মার্চেন্ট নেভি অফিসার (Merchant Navy Officer) সৌরভ রাজপুত। মীরাটের বাড়িতে ফিরে স্ত্রীর সঙ্গে একযোগে ছোট্ট মেয়ের জন্মদিন পালন করবেন বলেই ইচ্ছা ছিল সৌরভ রাজপুত নামে ওই অফিসারের। তবে তিনি লন্ডন থেকে ফিরলে যে তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করে ফেলে স্ত্রী মুসকান, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি সৌরভ রাজপুত। অন্যদিকে প্রেমিক সাহিল শুক্লর সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বামী সৌরভকে খুন করে, নির্মমভাবে তাঁর দেহাংশ খণ্ডিত করে স্ত্রী। খুনের পর সৌরভের দেহ কেটে প্লাস্টিকের ড্রামে ভরে সিমেন্ট পেস্ট করে মুসকান এবং সাহিল। যে ভয়াবহ ঘটনা সামনে আসতেই তা নিয়ে ছড়ায় চাঞ্চল্য।
সৌরভ রাজপুতকে খুনের পর মুসকান রাস্তোগি এবং সাহিল শুক্লকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর প্লাস্টিকের ড্রাম থেকে উদ্ধার করা হয় মার্চেন্ট নেভি অফিসারের দেহের খণ্ডিত অংশগুলি। যা প্রকাশ্যে আসতেই মানুষ শিউরে উঠতে শুরু করেছে।
সৌরভ রাজপুত খুনে দোষী মুসকান রাস্তোগির বাবা-মাও এবার মুখ খুললেন। মুসকানের মা-বাবা দুজনেই মেয়ের ফাঁসির দাবি জানান। সৌরভ অত্যন্ত ভাল ছিলেন। মুসকানের সঙ্গে সৌরভের বাবা-মায়ের বনিবনা হয়নি বিয়ের পর। তাই স্ত্রীকে নিয়ে পৃথক থাকতে শুরু করেন সৌরভ। মুসকান যা বলত, সৌরভ তাই করতেন। জামাই অত্যন্ত ভাল মানুষ ছিলেন। তাঁদের মেয়েই খারাপ। তাই খুনের অপরাধে মেয়ের যাতে ফাঁসির সাজা হয়, তেমনই দাবি করেন মুসকানের মা, বাবা। এমনকী মুসকানের মত মানুষের জীবিত থাকার কোনও অধিকার নেই বলেও তাঁরা মন্তব্য করেন।
শুনুন মুসকানের মা-বাবা কী বললেন...
'फांसी दो..उसे जीने का कोई हक़ नहीं'
मेरठ के ब्रह्मपुरी क्षेत्र में एक महिला (मुस्कान) ने अपने प्रेमी (साहिल शुक्ला) के साथ मिलकर पति (सौरभ राजपूत) की जघन्य हत्या कर दी. शव के टुकड़े कर उसे सीमेंट से भरे ड्रम में सील कर दिया. आरोपी मुस्कान के माता-पिता से NDTV इंडिया ने बात की… pic.twitter.com/ammuSYTtXn
— NDTV India (@ndtvindia) March 19, 2025
মুসকানের বাবা-মা আরও বলেন, সৌরভ যখন লন্ডনে যান তখন তিনি যাতে স্ত্রীকে তাঁদের কাছে রেখে যান, তাঁরা জানিয়েছিলেন। তবে স্ত্রীর যাতে কোনও অসুবিধা না হয় বাবা, মায়ের কাছে থেকে, তাই মুসকানকে নিজের ইচ্ছামত থাকতে দেন সৌরভ। মুসকানের কোনও কাজে সৌরভ বাধা দিতেন না। মুসকানকে সব সময় সৌরভ সমর্থন করতেন বলেও অভিযুক্ত তরুণীর মা-বাবা জানান। সৌরভ লন্ডডনে যাওয়ার পর থেকেই সাহিল নিত্য যাতায়াত করত মুসকানের কাছে। সাহিলই মুসকানকে নেশা ধরায়। তারপর ২ জনের মিলে সৌরভকে খুন করে বলে কেঁদে ফেলেন মুসকানের বাবা, মা।