রবিবার ভোররাতে পুরীতে পদপিষ্টের ঘটনায় (Puri Rath Yatra Stampede Case) মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে তিন পূণ্যার্থীর। পুরীর গুন্ডিজা মন্দিরের কাছ পদপিষ্টের ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬০ জন। যার মধ্যে অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। ঘটনাটি ঘিরে প্রশাসনিক অব্যবস্থার অভিযোগ তুলছেন দর্শনার্থীদের একাংশ। বলা হচ্ছে, ঘটনার সময় পুলিশ বা নিরাপত্তারক্ষী পর্যাপ্ত পরিমাণে মোতায়েন ছিল না। যার ফলেই ঘটেছে এই ঘটনা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কংগ্রেস, বিজেডি সহ বিরোধী দলের পক্ষ থেকে ঘটনাটি নিয়ে তীব্র নিন্দা করা হয়েছে।
ঘটনাটি নিয়ে মন্তব্য মল্লিকার্জুন খাড়গের
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, "জগন্নাথ দেবের রথযাত্রায় পদপিষ্টের ঘটনায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত। এই দুর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু এবং অনেকেই আহত হয়েছেন। এর আগেও শুক্রবার মাত্রারিক্ত ভীড়ের কারণে ৫০০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। মৃতদের পরিবারের উদ্দেশ্যে সমবেদনা রয়েছে এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতার কামনা করছি। স্থানীয় প্রশাসনের চুড়ান্ত অবহেলা, অব্যবস্থাপনার কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। রাজ্য সরকারের কাছে এই ঘটনার নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের দাবি জানাচ্ছি”।
শনিবার রাতে গুন্ডিচা মন্দিরে পৌঁছয় রথ
প্রসঙ্গত, শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছিল রথযাত্রা। পুরীর মন্দির থেকে গুন্ডিজা মন্দির পর্যন্ত দুরত্ব কমবেশী ৩ কিলোমিটার। কিন্তু এই দুরত্ব পেরোতেই সময় লেগে যাচ্ছে তিনদিন। শনিবার রাতে মন্দিরের সামনে রথ গেলেও জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রাকে নামানো যায়নি। আজ ভোরে সেটি হওয়ার কথা ছিল। তখনই দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। যার ফলে পদপিষ্টের মতো ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় প্রভাতী দাস, বাসন্তি সাহু এবং প্রেমকান্ত মোহান্তির মৃত্যু হয়।