মুম্বই, ২০ নভেম্বর: আগামী মাসেই মহারাষ্ট্রে (Maharastra) সরকার গঠন করার দিকে এগিয়ে চলেছে শিবসেনা (shiv sena), কংগ্রেস (congress) ও এনসিপি (NCP)। সকলের দৃষ্টি রয়েছে কংগ্রেস এবং এনসিপি-র মধ্যে বৈঠকের দিকে। এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন দুই দলের শীর্ষ নেতারা। আজ এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের (Sharad Power) বাসভবনে এই বৈঠক হবে। তাতে কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল, অশোক চহ্বন, পৃথ্বীরাজ চহ্বনসহ অন্য শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। এনসিপি-র পক্ষ থেকে অজিত পাওয়ার, প্রফুল প্যাটেল, সুনীল তাতকরে, ছাগন ভূজবাল এবং জয়ন্ত পাতিল উপস্থিত থাকবেন।
বৈঠকের আগে এক কংগ্রেস নেতা বলেন, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নতুন সরকার গঠন হতে পারে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, এর আগে শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত (Sanjay Rout) বলেছিলেন যে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের দল মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করবে। মঙ্গলবার কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী প্রসিডেন্ট সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) আহমেদ প্যাটেল, এ কে অ্যান্টনি, মল্লিকার্জুন খড়গে এবং কেসি ভেনুগোপালের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে কোন কোন বিষয়ে শিবসেনার কাছে মাথা নীচু করা হবে না সেই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেছেন তাঁরা। সরকার গঠনে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব হিন্দুত্ববাদের মতো বিতর্কিত বিষয়ে শিবসেনার কাছ থেকে আশ্বাস চান। গতকালই শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেন সনিয়া গান্ধি। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবরে প্রকাশ, বৈঠকের বিষয়ে এক কংগ্রেস নেতা বলেন, "সনিয়া ও পাওয়ারের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল শিবসেনা এবং ক্ষমতা ভাগাভাগির সূত্র।" তিনি আরও জানান যে বিধায়করা, মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের নেতারা শিবসেনা ও এনসিপির সঙ্গে মিলে সরকার গঠনের পক্ষে। আরও পড়ুন: Kamal Haasan and Rajinikanth Hint at Joining Hands: তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে ফ্লপের গেরো কাটাতে এবার জোটের ময়দানে কামাল হাসান ও রজনীকান্ত
প্রস্তাবিত চুক্তি অনুসারে, শিবসেনা পাঁচ বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদ পাবে। কংগ্রেস এবং এনসিপি উভয়ই উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদ পাবে। স্পিকার কংগ্রেসের তরফে হতে পারে। ওই কংগ্রেস নেতা বলেন, "এই মুহুর্তে উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী পদের শীর্ষ দাবিদার। অন্যদিকে এনসিপির অজিত পাওয়ার এবং কংগ্রেসের অশোক চহ্বন উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ প্রত্যাশা করছেন।" ১২ নভেম্বর মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু হয়। এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর পদের কারণে শিবসেনা-বিজেপি জোট সরকার গঠন হয়নি। এছাড়া আরও অন্য কোনও দলই সরকার গঠনে এগিয়ে আসেনি।