রাসায়নিক বিস্ফোরণ (Photo Credit: ANI)

ধুলে, ৩১ আগস্ট: মহারাষ্ট্রের ধুলে (Maharashtra's Dhule) এলাকার এক রাসায়নিক কারখানায় (Chemical factory) ভয়াবহ বিস্ফোরণ (major blast)। শনিবার সকালের এই মর্মান্তিক ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৪৩। ইতিমধ্যেই আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন, জোরকদমে চলছে আগুন নেভানোর কাজ। ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা এলাকা। অনেকেই রাসায়নিক পোড়ার গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কারখানার ভিতরে এখনও ৭০ জনের মতো আটকে থাকার খবর মিলেছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। প্রাথমিক খবর অনুযায়ী শিরপুরে মহারাষ্ট্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের কম্পাউন্ডের ভিতরেই ছিল রাসায়নিকের কারখানাটি। বিস্ফোরণ এতটাই তীব্র ছিল যে আসপাশের সব গ্রামও কেঁপে ওঠে।

রাসায়নিক কারখানায় আগুন লাগলে ভয়াবহতা সাধারণত বেশিই হয়। কেন না, আগুন ছড়াল বাড়তে থাকে ধোঁয়া, রাসায়নিক পোড়া গন্ধ শ্বাস নিতে কষ্ট হয় আর কারখানাটি যদি জনবহুল এলাকায় হয় তাহলে বাসিন্দাদের দ্রুত অসুস্থ হওয়ার সম্ভনা প্রব। যদিও আশার বিষয়শহর থেকে অনেকটাই দূরে এই রাসায়নিক কারখানার অবস্থান। তবে তাতেও সমস্যার শেষ নেই। অনেক কর্মচারীই দূর থেকে যাতায়াত এড়াতে কারখানা লাগোয়া এলাকাতেই থাকেন। কেউ কেউ আবার কারখান চত্বরেই কোয়ার্টারে সংসার পেতেছেন। এখনও পর্যন্ত সেই সব পরিবারের শিশুরা আহত হয়েছে। তাদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কারখানা কর্তৃপক্ষরে আশঙ্কা, রাসায়নিক পোড়া ধোঁয়া বিষাক্ত। এর জেরে বহু লোক এখনও অসুস্থ হবে। কারণ ধোঁয়াকে তো আর বন্দি করা যাবে না। সে দিকে বহমান হবে, সেদিকেই বাড়বে মৃত্যু মিছিল। ইতিমধ্যেই আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় সাব জেলা হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কারখানায় আটক লোকজনের সংখ্যাটিও ভয়ের। তাই মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।