লখনউ, ৬ ডিসেম্বর: স্ত্রীর (Wife) গলা চিরে দিল এক ফিজিওথেরাপিস্ট। স্ত্রীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে, রাগের চোটে সঙ্গিনীর গলা চিরে দেয় লখনউয়ের (Lucknow ) ঠাকুরগঞ্জের ওই ফিজিওথেরাপিস্ট। মঙ্গলবার যখন ওই ফিজিওথেরাপিস্টের শাশুড়ি আসেন মেয়ে, জামাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে, সেই সময় তাঁর কন্যার মৃতদেহ ঘরের ভিতর পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। আনন্দেশ্বের নামে বছর ৪০-এর ওই ব্যক্তি স্ত্রীকে খুনের পর পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পুলিশ আনন্দেশ্বরকে ধরতে জোরদার তল্লাশি শুরু করেছে।
রিপোর্টে প্রকাশ, আনন্দেশ্বরের শাশুড়ি মঙ্গলবার মেয়ের বাড়িতে আসেন। ঘরে ঢুকে মেঝেয় রক্ত পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর তিনি বাড়ির পিছনে গেলে, সেখানে বিছানার চাদর জড়ানো অবস্থায় মেয়ে সন্ধ্যার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। শুধু তাই নয়, সন্ধ্যার গলা চেরা অবস্থায় পড়ে থাকতে কমলা নামে ওই প্রৌঢ়া দেখতে পান বলে খবর। এরপর তিনি চিৎকার করে আশপাশের লোকজনকে ডাকলে, তাঁরাই থানায় খবর দেন।
সন্ধ্যার দাদা এরপর থানায় আনন্দেশ্বরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। জানা যায়, বেটিং নিয়ে স্বামী, স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ শুরু হলে, রাগের চোটে খুন করে ওই ব্যক্তি। তবে এই প্রথম নয়, এর আগে ২০০৮ সালে আনন্দেশ্বর এবং তার দাদা একযোগে সন্ধ্যার উপর অত্যাচার করে। ওই সময়ও থানা পুলিশ করে বিষয়টির মীমাংশা করেন সন্ধার পরিবার। ২০০৮ সালের ওই ঘটনার পর এবার বিবাদের জেরে স্ত্রী সন্ধ্যাকে খুন করে ঠাকুরগঞ্জের বাসিন্দা ৪০-এর আনন্দেশ্বর।