দিল্লি, ১৭ সেপ্টেম্বর: ক্রমাগত বাড়ছে ব্রেন ইটিং অ্যামিবা (Brain Eating Amoeba) বা মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবার প্রকোপ। মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবার হামলার জেরে পরপর ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে কেরলে (Kerala)। ১৯ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি ৬১ জন আরও এই ব্রেন ইটিং অ্যামিবার থাবায় আক্রান্ত বলে রিপোর্টে প্রকাশ।
জানা যাচ্ছে, এওই ব্রেন ইটিং অ্যামিবার প্রকোপ মিষ্টি জল থেকে ছড়াচ্ছে। মিষ্টি জল থেকে এই ব্রেন ইটিং অ্যামিবার প্রকোপ ছড়াচ্ছে। যে কোনও ধরনের অপরিচ্ছন্ন জল নাকে ঢুকে গেলে, ওই অ্যামিবা সোজা মস্তিষ্কে প্রবেশ করছে। আর তা থেকেই একের পর এক মৃত্যুর খবর মিলছে কেরল থেকে।
তাই যে কোনও জায়গায় স্নানের আগে বা জলে নামার আগে সাবধান। অপরিচ্ছন্ন জল নাকে গেলেই সেখানে থেকে শরীরে ঢুকে পড়ছে এই অ্যামিবা। আর তা সোজা চলে যাচ্ছে মস্তিষ্কের অন্দরে। তবে এই অসুখ মানুষের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে না। তাই মানুষের মাধ্যমে আক্রান্ত হওয়ার কোনও ভয় নেই বলেই জানা যাচ্ছে।
ব্রেন ইটিং অ্যামিবায় কেউ আক্রান্ত হলে কী কী প্রভাব দেখা যায়
ব্রেন ইটিং অ্য়ামিবায় আক্রান্ত হলে জ্বর আসবে
বমি হবে ক্রমাগত
বমি বমি ভাব থাকতে পারে সারা দিন ধরে
ব্রেন ইটিং অ্যামিবায় আক্রান্ত হলে সংক্রমিতর কাধ শক্ত হয়ে যায়
সারা শরীরে যন্ত্রণাও দেখা দিতে পারে
তাই পুকুর, নদী, খাল, বিলের জল থেকে সাবধান। সরাসরি এই জল দিয়ে নাক কখনও ধোবেন না বলে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
কেরলের পরিস্থিতি
২০১৬ সালে এরবার কেরলে ব্রেন ইটিং অ্যামিবার প্রকোপ ছড়ায়। ওই সময় ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই অ্যামিবার প্রকোপে বেশ কয়েকজনকে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল প্রযন্ত ৮ জন ব্রেন ইটিং অ্যামিবায় আক্রান্ত হন কেরলে। মেলে এমন পরিসংখ্যান।
তবে গত বছর ৩৬ জন এই মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবায় আক্রান্ত হন। যাঁদের মধ্যে ৯ জনের মৃত্যুর খবর মেলে। ২০২৪-এর তুলনায় ২০২৫ সালে এই আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়েছে। এ বছর এখনও পর্যন্ত ব্রেন ইটিং অ্যামিবার প্রকোপে ৬১ জন সংক্রমিত। যাঁদের মধ্যে ১৯ জনের মৃ্ত্যু হয়েছে।