
পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির (Pakistani Spy) অভিযোগে গত মাসের রাজস্থান থেকে গ্রেফতার হয়েছিল কাসিম নামে এক যুবক। তাঁকে জেরা করে উঠে আসে তাঁর দাদা হাসিনের নাম। পরবর্তীকালে তাঁকেও রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। যদিও গ্রেফতারি হওয়ার আগে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে ফোনের সমস্ত ডেটা মুছে ফেলেছিল দুই ভাই। অবশেষে সেই সমস্ত তথ্য উদ্ধার করল দিল্লি পুলিশের সাইবার বিভাগের আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, পহেলগাম হামলার পরবর্তী সময়ে ভারতীয় সেনা কী কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে, সেনার গতিবিধি সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য পাক এজেন্টদের পাচার করেছিল দুই অভিযুক্ত। সেই সমস্ত তথ্য এবার উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ বাড়াল আদালত
বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আদালতে পেশ করে পুলিশ। পাতিয়ালা হাউস কোর্ট অভিযুক্তদের আগামী ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের দাবি মঞ্জুর করে। জানা যাচ্ছে, আগামী ৭ দিন দুই ভাইকে উদ্ধার হওয়া তথ্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। সূত্রের খবর, দুই যুবক এদেশে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল, যার মাধ্যমে প্রতিরক্ষা মন্ত্রালয়ের কর্মকর্তাদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করেছিল তাঁরা।
জ্যোতি মালহোত্রার গ্রেফতারি
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যাঁদের মধ্যে অন্যতম জ্যোতি মালহোত্রা। এই জ্যোতি একজন ভারতীয় ট্রাভেল ভ্লগার ছিল। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ৩-৪ বার পাকিস্তানে ঘুরে এসেছে সে। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল কাসিমের। জ্যোতিকে জেরা করার পরেই গ্রেফতার হয় কাসিম। এই কাসিম ও হাসিনও পাকিস্তানের একাধিকবার যাতায়াত করেছেন এবং সেখানে ভারতীয় সিম পাচার করত বলেও জানা যাচ্ছে।