ভোপাল, ১০ মার্চ: মধ্যপ্রদেশে গভীর সঙ্কটে কমল নাথ সরকার। এবার কংগ্রেস ছাড়লেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia)। কয়েক দিনের জল্পনা কি তাহলে সত্যি হতে চলেছে।? এ বার কি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা (Congress Leader) জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া? অবশেষে সেই জল্পনা আরও তুঙ্গে। মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাসভবনে যান জ্যোতিরাদিত্য। তারপরই পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে।
খবর অনুযায়ী, বিজেপি তাঁকে রাজ্যসভার প্রার্থী করতে চলেছেবলে জানা গেছে। তাঁর সঙ্গে আরও ১৯ জন বিধায়কও বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। যারফলে কমল নাথ সরকারের পতন অনিবার্য। প্রায় কর্নাটকের মতোই মধ্যপ্রদেশেও ক্ষমতা দখল করতে চলেছে বিজেপি। গত কয়েক দিন ধরেই রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছিল মধ্যপ্রদেশে। এরই মধ্যে সোমবার ১৭ জন কংগ্রেস বিধায়কের টিকিটিও না পাওয়া যাওয়ায় নাটকীয় মোড় নেয় রাজ্যের রাজনীতি। আরও পড়ুন, বিক্ষুব্ধ নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কারসাজি, কমলনাথের সরকারের ২০ জন মন্ত্রীর পদত্যাগ
— Jyotiraditya M. Scindia (@JM_Scindia) March 10, 2020
যে ১৭ জন বিধায়ক নিখোঁজ ছিলেন তাঁরা সকলেই জ্যোতিরাদিত্যের ঘনিষ্ঠ। তাঁরা সমর্থন তুলে নিলে সরকারের পতন যে অনিবার্য তা স্পষ্ট বুঝেছিল কংগ্রেস। তাই সিন্ধিয়া ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বিধায়কদের দলে ফিরিয়ে আনার সব রকম চেষ্টা চালিয়ে করেন কমল নাথ। তবে কংগ্রেসের তরফথেকে আলোচনার জন্য সব দিক খোলা রাখা হয়েছে, এমনও নাকি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল জ্যোতিরাদিত্যকে। কিন্তু সেই প্রস্তাবে সায় দেয়নি জ্যোতিরাদিত্য। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের (Chief Minister Kamal Nath) মন্ত্রিসভার বৈঠকে যে ২০ জন মন্ত্রী যোগ দিয়েছিলেন। সোমবার রাতের দিকে তাঁরা প্রত্যেকেই পদত্যাগ করলেন।