Jharkhand Political Crisis: সরকার পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা, বিধায়কদের রাঁচি থেকে সরিয়ে লাতরাতু নিয়ে গেল ঝাড়খণ্ডের শাসক জোট সরকার

সরকার বাঁচাতে বিধায়কদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গেল ঝাড়খণ্ডের শাসক ইউপিএ জোট সরকার। শনিবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Jharkhand Chief Minister Hemant Soren)-সহ শাসক জোটের মন্ত্রী, বিধায়কদের (UPA MLAs And Ministers) নিয়ে তিনটি বাতানুকূল বাস রাঁচি থেকে রওনা দেয়। রাজধানী রাঁচি থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে খুন্তি জেলার (Khunti District) লাতরাতু বাঁধের (Latratu Dam) একটি গেস্ট হাউসে উঠেছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, রাজ্যপাল রমেশ বাইশ শনিবার হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজ করার নির্দেশ দিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠাতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে ঝাড়খণ্ডের সরকার বাঁচাতে আজ তৃতীয় দফার ম্যারাথন আলোচনায় বসে শাসক জোটের দলগুলি।

Jharkhand MLAs. (Photo Credits: ANI)

রাঁচি, ২৭ অগাস্ট: সরকার বাঁচাতে বিধায়কদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গেল ঝাড়খণ্ডের শাসক ইউপিএ জোট সরকার। শনিবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Jharkhand Chief Minister Hemant Soren)-সহ শাসক জোটের মন্ত্রী, বিধায়কদের (UPA MLAs And Ministers) নিয়ে তিনটি বাতানুকূল বাস রাঁচি থেকে রওনা দেয়। রাজধানী রাঁচি থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে খুন্তি জেলার (Khunti District) লাতরাতু বাঁধের (Latratu Dam) একটি গেস্ট হাউসে উঠেছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, রাজ্যপাল রমেশ বাইশ শনিবার হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজ করার নির্দেশ দিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠাতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে ঝাড়খণ্ডের সরকার বাঁচাতে আজ তৃতীয় দফার ম্যারাথন আলোচনায় বসে শাসক জোটের দলগুলি।

ওই বৈঠকেই মন্ত্রী ও বিধায়কদের রাঁচি থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকের পরে হেমন্ত সোরেন ও বাকি বিধায়কদের লাগেজ নিয়ে বাসে উঠতে এবং চলে যেতে দেখা যায়। পরে তারা রাঁচি থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে খুন্তিতে পৌঁছায় এবং লাতরাতু বাঁধের কাছে একটি হ্রদে নৌকায় যাত্রা করতেও দেখা যায়। সূত্র জানায়, রাতেই রাঁচিতে ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। আরও পড়ুন: Bagda Gangrape Case: বাগদা সীমান্তে যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ২ বিএসএফ কর্মী

এদিকে, আজই ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ বাইশ শনিবার হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজ করার নির্দেশ দিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠাতে পারেন। নিজের নামে একটি খনির ইজারা নেওয়ার মামলায় হেমন্তের বিরুদ্ধে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী কোনও জনপ্রতিনিধি লাভজনক কোনও কাজে বা পদে যুক্ত থাকতে পারেন না। বিজেপি এই বিষয়ে ফেব্রুয়ারি মাসেই রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল। এছাড়াও হেমন্ত সোরেনকে অযোগ্য ঘোষণার দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছেও গিয়েছিল।

নিয়মানুযায়ী, কোনও রাজ্যের আইনসভার কোনও সদস্যের সদস্যপদ খারিজের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে রাজ্যপালের হাতে। তবে, এই জাতীয় যে কোনও প্রশ্নে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজ্যপাল নির্বাচন কমিশনের মতামত নেবেন এবং সেই মতামত অনুসারে কাজ করবেন। এই ধরনের মামলা বিবেচনার সময় পোল প্যানেল একটি আধা-বিচারিক সংস্থা হিসাবে কাজ করে। রাজ্যপাল এই বিষয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মতামত জানতে চাইলে তাদের তরফে হেমন্তের বিধায়ক পদ খারিজের প্রস্তাব করা হয়। বৃহস্পতিবারই নির্বাচন কমিশন হেমন্তের বিধায়ক পদ খারিজের প্রস্তাব সম্বলিত চিঠি রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়েছে।

৮১ আসনবিশিষ্ট ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় শাসক জোটের প্রধান শরিক জেএমএমের বিধায়ক সংখ্যা ৩০, কংগ্রেসের ১৮, আরজেডির ১। বিরোধী দল বিজেপির ঝুলিতে রয়েছে ২৬ আসন।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now