শ্রীনগর, ২০ নভেম্বর: ফেরউত্তপ্ত জম্মু কাশ্মীর। এবার ফের কুলগামে শুরু হল সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই। শনিবার সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করে কুলগামের আসমুজি এলাকা। সেনা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইে খতম এক পাকিস্তানি জঙ্গি। যদিও ওই এলাকায় আরও কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কি না, সে বিষয়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি। তবে জম্মু কাশ্মীর পুলিশের তরফে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
সম্প্রতি জম্মু কাশ্মীরে হায়দরপোরা এনকাউন্টার নিয়ে জোর শোরগোল শুরু হয়। হায়দরপোরায় জঙ্গি নিধনের নাম করে নীরিহ কাশ্মীদের (Kashmiri) হত্যা করা হয়েছে। এমন অভিযোগ করেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। পিডিপি নেত্রীর পর ওমর আবদুল্লাও বিষয়টি নিয়ে সরব হন। এরপরই হায়দরপোরার ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। জম্মু কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা হায়দরপোরার ঘটনায় ম্যাজেস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যাতে ওই তদন্তের রিপোর্ট জমা করা হয়, সে বিষয়েও জানান মনোজ সিনহা।
গত সোমবার হায়দরপোরায় পুলিশের (Police) সঙ্গে সংঘর্ষে পাকিস্তানি জঙ্গিদের মৃত্যু হয় বলে জানানো হয়। ওই ঘটনার আমির মাগরে নামে এক পাক জঙ্গি এবং তার দুই সহযোগী আলতাফ আহমেদ ভাট এবং মুদাসির গুলের মৃত্যু হয় বলে পুলিশ দাবি করে। যদিও পুলিশের ওই দাবিকে নস্যাৎ করে দেওয়া হয়। যে বাণিজ্যিক ভবনে এনকাউন্টার হয়, সেখানকার মালিক আলতাফ ভাট এবং গুল হলেন সেখানকার একজন ভাড়াটিয়া। এমনই দাবি করা হয় নিহত দুই ব্যক্তির পরিবারের তরফে।
নিহতদের পরিবারের ওই দাবির পর থেকেই কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে পড়তে শুরু করে কাশ্মীর। জঙ্গি নিধনের নাম করে নীরিহ মানুষকে কেন্দ্রীয় সরকার খুন করছে বলে অভিযোগ করা হয় পিডিপির তরফে। সোমবারের ঘটনার প্রতিবাদ করার পরই মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করা হয় বলে অভিযোগ। যা নিয়ে ফের পারদ চড়তে শুরু করেছে উপত্যকায়।