West Bengal Statehood Day Photo Credit: File Image

West Bengal Formation Day 2023: “ওরা ভারত ভাগ করেছে। আমি পাকিস্থানকে টুকরো  করলাম।“ এ কথা বলেছিলেন ভারত কেশরী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। দীর্ঘ সংগ্রামের পরে ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ভারত। দেশের বাংলা প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চল পেয়েছিল ‘অঙ্গরাজ্য’ মর্যাদা। তখনই নাম হয় পশ্চিমবঙ্গ। অবশ্য দাফতরিক ভাষা ইংরেজিতে নাম ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল’। উল্লেখ্য, বলা যেতে পারে দেশ স্বাধীন হলেও মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হলো ‘অখণ্ড বাংলা’-র। যা ছিল ইংরেজদের ‘চক্রান্ত’।১৯৪৭-এর ২০ জুন ভাগ হয়েছিল দুই বাংলা।তাই ২০ জুন দিনটিকে অনেকেই দাবি করে থাকেন ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ হিসেবে। কারণ এই দিনে বেঙ্গল অ্যাসেম্বলিতে রেজ্যুলেশন নেওয়া হয়েছিল বাংলা বিভাজনের। তাই অনেকের দাবি, এই দিন ‘পশ্চিমবঙ্গ’ দিবস নয়, ‘বঙ্গভঙ্গ’ দিবস।

১৯৪৭ সালের মার্চ মাস নাগাদ কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ ভারত ভাগ স্বীকার করে নিলেন। একবার ভেবেদেখা হল না সীমান্তের ওপারে ইসলামী রাষ্ট্র পাকিস্তানে যে সব হিন্দু-শিখ-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান তাদের কি হবে | সে সময় অবিভক্ত বাংলা ছিল ৫৫% মুসলিম, ৪৫% হিন্দু। মুসলিম লীগ দাবি তুলল যে গোটা বাংলাই পাকিস্তানকে দিতে হবে। এটা হলে আসামও বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত এবং কালক্রমে সেটাও পাকিস্তানেচলে যেত। কিন্তু এই চক্রান্ত বিফল হল শুধু একজন মানুষের জন্য, যাঁর নাম শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তিনি তাঁর বিশাল রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি দিয়ে বুঝতে পেরেছিলেন ইসলামী পাকিস্তান হিন্দুদের জন্য নরকে পরিণত হবে। সেইজন্য তিনি দাবী করলেন, ভারত ভাগ করলে বাংলাকেও ভাগ করে বাংলার হিন্দুপ্রধান অঞ্চলগুলি নিয়ে একটা ‘পশ্চিমবঙ্গ’ সৃষ্টি করতে হবে, যা হবে হিন্দুপ্রধান ভারতের অংশ। এই বিষয়ে প্রচার করার জন্য শ্যামাপ্রসাদ সারা বাংলা চষে বেড়ালেন এবং কংগ্রেসেরও সমর্থন পেলেন। সেই সময়কার বাঙালি হিন্দু মনীষীরা, যেমন সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, যদুনাথ সরকার, রমেশচন্দ্র মজুমদারইত্যাদিরাও তাঁকে অকুন্ঠ সমর্থন করলেন।এই সমর্থনের জোরে বঙ্গীয় আইনসভা বাংলা ভাগ করার প্রস্তাব পাশ করল। সে দিনটা ছিল ২০শে জুন ১৯৪৭। দু’ই বাংলার আলাদা আলাদা নাম হয় পূর্ববঙ্গ এবং পশ্চিমবঙ্গ। পূর্ববঙ্গ যায় পাকিস্তানের দখলে। তখন ‘পূর্ব পাকিস্তান’ নামে পরিচিত ছিল ‘পূর্ববঙ্গ’। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ অন্তর্ভুক্ত হয় ভারতের।