জম্মু ও কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর উপর সন্ত্রাসবাদী হামলার পঞ্চম বার্ষিকী উদযাপন করা হবে ২০২৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, যখন গোটা বিশ্ব ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে একে অপরের সঙ্গে ভালবাসা বিনিময় করছিল। তখন পাকিস্তানের এক সন্ত্রাসী সংগঠন ছড়িয়ে দেয় বিস্ফোরণের কালো ধোঁয়া। এদিন পুলওয়ামার (জম্মু কাশ্মীর) মধ্য দিয়ে যাওয়া ভারতীয় সৈন্যদের একটি কনভয়ে মারাত্মক বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি ধাক্কা দেয় সেই পাকিস্তানি সন্ত্রাসী সংগঠন। এই প্রচণ্ড বিস্ফোরণে শহীদ হন ৪০ জন ভারতীয় সেনা। ওই শহীদ সেনারা বাড়ি থেকে দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে সীমান্তের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলে, এই হামলার সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক অস্বীকার করে পাকিস্তান।
১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, সকাল ৩:৩০ মিনিটে প্রায় ২৫০০ জন সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ান, ৭৮টি সামরিক ট্রাকে করে একটি কনভয়, জাতীয় সড়ক ৪৪ হয়ে রওনা দেয় জম্মু ও কাশ্মীরের দিকে। অবন্তিপোরার কাছে লেথপোরা দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকা একটি গাড়ি এসে সেনা কনভয়ে ধাক্কা দেয়। গাড়িটি ভর্তি ছিল বিপজ্জনক বিস্ফোরকে। যার জেরে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হতেই এক প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই ৪০ জন সৈন্যের মৃতদেহ রাস্তার দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও সেদিন গুরুতর আহত হয় অনেক সেনা। ভালোবাসা দিবসে পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নেওয়া সন্ত্রাসী সংগঠনের এই কাজের নিন্দা হয় গোটা বিশ্বে।
পুলওয়ামা হামলায় ৪০ জন নিরীহ সৈন্যের শহিদ হওয়ায় গোটা দেশ গর্জে ওঠে। আশা ছিল, ভারত সরকার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। সেই আশা পূরণ হতে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি দেশবাসীকে। মাত্র ১২ দিনের মধ্যে একটি পরিকল্পনা করেন ভারতীয় সৈন্যরা। ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে পাকিস্তানের বালাকোটের জঙ্গি আস্তানাগুলি ধ্বংস করে ভারতীয় বায়ু সেনা। সূত্রের খবর অনুযায়ী বিমান হামলায় সন্ত্রাসীদের আস্তানায় আনুমানিক ১ হাজার কিলো বোমা ফেলা হয়। এই হামলায় ৩০০ সন্ত্রাসী নিহত হয়। পরে পাকিস্তান প্রতিশোধ হিসেবে ভারতে হামলার চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেনি, কারণ ভারতীয় বিমান ও সেনা বাহিনী আগের থেকেই এই হামলার জন্য প্রস্তুত ছিল।