একটি নতুন গবেষণা অনুযায়ী, আলিঙ্গন সহ যেকোনও শারীরিক স্পর্শ উন্নত করতে পারে মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য।
জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডসের গবেষকরা স্পর্শের প্রভাবের উপর একটি গবেষণা করে। এই গবেষণার মাধ্যমে জানা যায় যে দুঃখ, কষ্ট, ব্যথা, উদ্বেগ, বিষণ্নতার সঙ্গে লড়াই করার জন্য সবথেকে ভালো অস্ত্র হল আলিঙ্গন। এমনকি হালকা স্পর্শও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বোচুম, ডুইসবার্গ-এসেন এবং আমস্টারডামের গবেষকদের একত্রিত দল একটি গবেষণা করে। মানুষের উপর স্পর্শের প্রভাব বোঝার জন্য করা হয় এই গবেষণা। এই গবেষণায় অংশগ্রহণ করে প্রায় ১০ হাজার জন। তাদের উপর করা হয় ১৩০ টিরও বেশি আন্তর্জাতিক গবেষণা। গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে স্পর্শ এমন একটি ঔষধ যা উপশম করতে পারে দুঃখ, কষ্ট, ব্যথা, বিষণ্নতা এবং উদ্বেগ। ২০২৪ সালের ৮ এপ্রিল, গবেষকদের এই দলটি প্রকাশ করে তাদের গবেষণার ফলাফল।
সমীক্ষায় জানা গেছে যে, ঠান্ডায় ভারি কম্বলের মতো জড় বস্তু যেমন শারীরিক আরাম দেয়, একই রকম ভাবে মানসিক আরাম দিতে পারে মানুষ এবং প্রাণীর স্পর্শ। তাই মানসিক সুস্থতার জন্য প্রিয় মানুষ বা প্রাণীর স্পর্শ খুব ভালো ঔষধ। নবজাতকদের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় স্পর্শের এই ইতিবাচক প্রভাব। বয়স বাড়ার সঙ্গে স্পর্শের প্রভাব পরিবর্তন হতে থাকে, তবে যেকোনও বয়সেই প্রিয় মানুষ বা প্রাণীর স্পর্শে শারীরিক ও মানসিক প্রভাব পড়ে।
সবার একটা বিষয়ে সবসময় সচেতন থাকা উচিত যে, স্পর্শ এবং আলিঙ্গন উপকারী হলেও বিনা অনুমতিতে করা উচিত নয়। স্পর্শ এবং আলিঙ্গন সর্বদা হওয়া উচিত সম্মতিপূর্ণ। এই গবেষণার মাধ্যমে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে মানুষের জীবনে শারীরিক যোগাযোগ অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করার একটি সহজ ও শক্তিশালী উপায়। তাই এবার থেকে আপনার সামনে প্রিয় মানুষ ও প্রাণী আসলে তাকে আলিঙ্গন করতে একদম দ্বিধাবোধ করবেন না।