করোনাভাইরাস (Photo Credits: IANS)

নতুন দিল্লি, ১৯ মার্চ: দেশে পাল্লা দিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও তা এখনও স্টেজ-দুইতেই আটকে আছে। বৃহস্পতিবার স্বস্তির খবর দিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)। এখনও পাড়ায় পাড়ায় রোগ ছড়িয়ে পড়ার পর্যায়ে যায়নি কোভিড-১৯। সম্প্রতি, বিদেশ থেকে আসেননি অথচ জ্বর-সর্দি-কাশি রয়েছে এমন ৮২৬ রোগীর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করেছে আইসিএমআর। এর সব ক’টা রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে। অর্থাৎ তাঁদের মধ্যে কেউ কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত নন। এই ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’ শুরু হয়েছে কিনা, সেই নিয়ে জল্পনার উৎস ছিলেন চেন্নাইয়ের এক ব্যক্তি। বুধবার তাঁর কোভিড ১৯ ধরা পড়ে। চিকিৎসায় তিনি সুস্থও হতে শুরু করেন।

এদিকে চিন্তার কারণ হল, ওই ব্যক্তির বিদেশে যাওয়ার কোনও রেকর্ড নেই। মেলামেশার তালিকা খুঁজে করোনা-আক্রান্ত কাউকে পাওয়াও যায়নি প্রাথমিক ভাবে। পরে জানা যায়, কিছু দিন আগেই দিল্লিতে কোভিড ১৯ আক্রান্ত বিদেশ-ফেরত এক রোগীর সংস্পর্শে তিনি এসেছিলেন। ফলে তিনি যে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের শিকার নন, ওই আক্রান্ত ব্যক্তির থেকেই সংক্রামিত হয়েছেন, নিশ্চিত হন চিকিৎসকরা। ইরান ও ইতালির পরিস্থিতি ভয়াবহ। মার্কিন মুলুকেও ত্রাস তৈরি হয়েছে। বিলেতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। ভারতে করোনাভাইরাস যদি স্টেজ-দুই পেরিয়ে যায় তাহলে ভয়াবহতা রোখা যাবে না। দেড়শো কোটির দেশে যত মানুষ আছে তার অনুপাতে হাসপাতালে বা চিকিৎসা পরিকাঠামো নেই। তাই কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটে গেলে বিপর্যয়ের আর কিছুই বাকি থাকবে না। আরও পড়ুন-Punjab Govt Orders Public Transport Shutdown From March 21: পাঞ্জাব সরকারের নির্দেশিকা, করোনার প্রকোপে ২১ তারিখ থেকে রাস্তায় চলবে না বাস অটো

কিন্তু আশার আলো তেমন কোনও সম্ভাবনা এখনও প্রমাণিত হয়নি। অর্থাৎ করোনা সংক্রামিতর সংস্পর্শে না এসে কেউ ভাইরাসের গ্রাসে পড়ছেন না। আসলে বহির্বিশ্বে ভাইরাসটির প্রসার দেখে আগেভাগেই ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অলিখিত জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে. প্রয়োজন না পড়লে রাস্তাঘাটে বেরনো যাবে না। সবাই বাড়ি থেকে কাজ করতে পারেন। ট্রেন, বাস বাতিল হয়েছে। সিনেমাহল, শপিংমল. জিম, পার্ক, পাব, নাইটক্লাবে পড়েছে তালা। তাই সংক্রমণ ছড়াতে পারছে না। আজ রাত আটটায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি যে করোন রুখতে নতুন বিধি চালু করবেন তা বেশ বোঝা যাচ্ছে।