হায়দরাবাদ, ৮ জুলাই: প্রাতরাশ (breakfast) সারতে হোটেলে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি, সময়মতো পুরিরও অর্ডার দেন। আধঘণ্টা কেটে গেলেও খাবার না আসায় হোটেলের শেফের কাছে জানতে চান ওই ব্যক্তি। সঙ্গে সঙ্গেই খরিদ্দারের মুখ লক্ষ্য করে এক হাতা গরম তেলে ছুঁড়ে দেন শেফ। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ওই ব্যক্তি। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হায়দরাবাদের চন্দ্রযানাগুট্টা এলাকায়। আক্রান্ত ব্যক্তির নাম মহম্মদ বিন বাকশাদি (Mohammad Bin Bakshadi), আর আক্রমণকারী শেফের নাম জাহাঙ্গির। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে। আরও পড়ুন-হিজবুল জঙ্গির মৃত্যুবার্ষিকীতে কাশ্মীরে বনধ, স্থগিত অমরনাথ যাত্রা
জানা গিয়েছে, সাতসকালে যখন সাংঘাতিক ঘিদে নিয়ে স্থানীয় হার্মেইন হোটেল যান বাকশাদি, তখন সেখানে খুব একটা ভিড় ছিল না। কাউন্টারে এক প্লেট পুরির অর্ডার করে তিনি বসে পড়েন। তাঁর থেকে ১৫ মিনিট সময় চেয়ে নেন হোটেলের কর্মীরা। এরপর আধঘণ্টা কেটে গেলেও পুরির প্লেট বাকশাদির সামনে আসেনি। ততক্ষণে খিদে বাড় বাড়তে মাথায় উঠেছে, রেগে গিয়েছেন ওই ব্যক্তি। কেন অপেক্ষা করিয়েও খাবার দিচ্ছে না তা জানতে কিচেনে ঢুকে পড়েন তিনি। সেখানে থাকা শেফ জাহাঙ্গির সঙ্গে বাদানুবাদও হয়। কথা কাটাকাটির পর রেগেমেগে হোটেল থেকে বেরিয়ে যান জাহাঙ্গির। বেশ কিছুক্ষণ পর দলবল জোগাড় করে ফিরে আসেন। ফের হোটেল ম্যানেজারের সঙ্গে একপ্রস্থ কথা কাটাকাটি হয়। কেন খরিদ্দারকে বসিয়ে রেখে সময় চেয়েও খাবর দিলেন না তানিয়ে বচসা হাতাহাতিতে গড়ায়।
এই সময় আচমকাই বাকশাদির মুখ লক্ষ্য করে কড়াতে ফুটতে থাকে গরম তেল ছুঁড়ে দেন শেফ জাহাঙ্গির। ঘটনার আকস্মিকতায় উপস্থিত সকলে হকচকিয়ে যান। এদিকে আক্রান্ত বাকশাদি জ্বালাযন্ত্রণায় আর্তনাদ শুরু করেছেন। তাঁর সহযোগীরাই তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করেন। দিনদুয়েক আগে ঘটনাটি ঘটলেও এদিন আক্রান্তের তরফে থানায় অভিয়োগ দায়ের হতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। তারপরেই জাহাঙ্গিরর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ যে আসবে তা ভালমতোই জানত অভিযুক্ত শেফ তাই সে গা-ঢাকা দিয়েছে। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছ়িয়েছে ওই এলাকায়। এখন বুঝতে পারছেন তো দেরি হলেও অর্ডার করা খাবার কেন আসছে না তানিয়ে কথা বলা যাবে না, বললে কী পরিস্থিতি হতে পারে তার ছবি তো দেখতেই পেলেন।